• বিচারপতির 'কন্ট্রাকচুয়াল কর্মী' কথার সঙ্গে সঞ্জয় রায়কে জুড়ে কী ইঙ্গিত দেবাংশুর?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 'অপরাধ সংগঠিত হয়েছে একজন কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মী দ্বারা...!' প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মন্তব্যের কেবলমাত্র এই অংশটুকু হাতিয়ার করে ফের একবার আর জি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের কর্মদক্ষতা প্রমাণ করতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।

    শীর্ষ আদালতে আর জি কর মামলায় মঙ্গলবারের শুনানি শেষ হওয়ার পর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন দেবাংশু। তাতে তিনি লেখেন, তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করেছে সিবিআই। সেই রিপোর্ট পড়ার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের একাধিক মন্তব্যের একটি অংশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন তৃণমূলের এই যুব নেতা।

    তিনি লিখেছেন, 'বিচারপতি বললেন, এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে একজন কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মী দ্বারা।...' দেবাংশুর এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট যে তিনি আর জি কর কাণ্ডে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মীর জড়িতে থাকার বিষয়টির উপরেই গুরুত্ব অরোপ করেছেন।

    প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট ধর্ষণ খুনের মামলায় প্রথমেই যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁর নাম সঞ্জয় রায়। তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। অর্থাৎ, রাজ্য সরকারের অধীনস্ত একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার আগে কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

    রাজ্যের শাসক শিবির প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, আর জি কর কাণ্ডে অত্যন্ত তৎপরতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে কলকাতা পুলিশ। সেই কারণেই মূল অভিযুক্তকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

    যদিও রাজ্যের এই যুক্তি মানতে নারাজ নির্যাতিতার পরিবার থেকে শুরু করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক-সহ আমজনতার একটা বড় অংশ। অধিকাংশেরই বক্তব্য, অপরাধের ধরন দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই ধর্ষণ ও হত্যা ধৃত সঞ্জয়ের একার কাজ হতে পারে না।

    এই অবস্থায় মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে ফের একবার আর জি কর মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানিতে মুখবন্ধ খামে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। পরবর্তীতে শুনানি চলাকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে প্রধান বিচারপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট অপরাধে একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী যুক্ত রয়েছেন। কাজেই, আবারও যদি চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের উপরেই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ারা কীভাবে নিজেদের নিরাপদ মনে করবেন?

    দেবাংশু প্রধান বিচারপতির পুরো বক্তব্যের মধ্যে, কেবলমাত্র প্রতিবেদনের একেবারে প্রথমেই উল্লেখিত অংশটুকু বেছে নিয়ে এবং সেই অংশটুকু সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরে বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন আদতে প্রথম থেকেই সঠিক পথে তদন্ত করেছে এবং সঠিক ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করেছে।

    যদিও দেবাংশুর এই পোস্টে তীর্যক মন্তব্য করতে ছাড়ছেন না নেটিজেনরা । অনেকেই পাল্টা যুক্তি পেশ করছেন। সুপ্রিম কোর্টে এদিনও যেভাবে রাজ্য সরকার নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে, তা নিয়েও দেবাংশুকে খোঁচা দিয়েছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতায় নিম্ন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আর জি কর কাণ্ডে গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ তারা পায়নি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)