জোকা-মাঝেরহাট রুটে ৫ স্টেশনে কাউন্টার নেই, সমস্যা নিয়ে মুখ খুলল মেট্রো
এই সময় | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো রুটে গত ১ অগস্ট থেকে তারাতলা, সখের বাজার স্টেশনে টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৫ অগস্ট থেকে বেহালা বাজার, ঠাকুরপুকুর স্টেশনেও মেট্রোর টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়। আজ, মঙ্গলবার থেকে বেহালা চৌরাস্তা মেট্রো স্টেশনেও টিকিট কাউন্টার বন্ধ করা হল। যাত্রী পরিষেবা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। সংশ্লিষ্ট রুটে এই মুহূর্তে সাতটি স্টেশনের মধ্যে যাত্রী পরিষেবা চালু আছে। সেগুলি হল – মাঝেরহাট, তারাতলা, বেহালা বাজার, বেহালা চৌরাস্তা, সখের বাজার, ঠাকুরপুকুর ও জোকা। এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বাকি রুটের কাজ চলছে। তবে, এই রুটের চালু থাকা প্রায় অধিকাংশ রুটেই টিকিট কাউন্টার তুলে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোর দাবি, একাধিক রুটেই ‘কাউন্টারলেস’ স্টেশন করা হচ্ছে। যাত্রীদের জন্য স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন (ASCRM) থেকে টোকেন, স্মার্ট কার্ড, কাগজের QR কোড-ভিত্তিক টিকিট কাটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কলকাতা মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘অনেক জায়গাতেই কাউন্টারবিহীন স্টেশন করা হচ্ছে। যাত্রীরা নিজেরাই মেশিন থেকে টিকিট কেটে নিতে পারছেন। এতে অসুবিধা হওয়ার কোনও বিষয় নেই।’
অন্যদিকে, মেট্রো কর্মীদের একাংশের দাবি, প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থায় টোকেন ও স্মার্ট কার্ড কিনতে যাত্রীদের কার্যত বাধ্য করছে রেল। তাঁদের প্রশ্ন, কাউন্টারবিহীন মেট্রো স্টেশন করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন যাত্রীরা। অনেক বৃদ্ধ ও প্রযুক্তিতে স্বচ্ছন্দ্য নন যাত্রীরা রয়েছেন, যাঁদের কাছে কাউন্টার থেকেই টিকিট কাটা অনেকটাই সুবিধাজনক। একদিকে, জোকা-মাঝেরহাট রুটে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়া, অন্যদিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেল কর্মীর অভাবেই কি কাউন্টার তুলে দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। গোটা বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে জনস্বার্থ মামলা করার পরিকল্পনা করছে যাত্রী ও কর্মীদের একাংশ বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) রুটে কবি সুভাষ স্টেশনেও কাউন্টার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছিল।