রাজ্যের একাংশে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা, মোকাবিলায় তৎপর নবান্ন
এই সময় | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিম্নচাপের বৃষ্টির জন্য গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। এরই মধ্যে একটানা দুর্যোগের জেরে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) পাঞ্চেত এবং মাইথন বাঁধ থেকে জল ছেড়েছে। আর এই দুইয়ের প্রভাবে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে রাজ্য সরকার। জেলাশাসকদের সতর্ক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। যে সমস্ত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সেখানে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে প্রধান সচিব ও সচিব পর্যায়ের ১০ জন শীর্ষ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যদি প্রয়োজন মনে হয় সেক্ষেত্রে নীচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষদের সুরক্ষিত স্থানে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা শাসকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। ডিভিসি-র মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ দিন মাইথন থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধান থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়।
এই দুই জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে তা পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর ব্যারেজে পৌঁছয়। ফলে জলের চাপ বাড়লে সেখান থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বেশি জল ছাড়া হলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেমন বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ–সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলি।