আরজি করে চিকিৎসককে গণধর্ষণ নিয়ে ধোঁয়াশা! আদালতে কী জানাল CBI?
এই সময় | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে কি গণধর্ষণ করা হয়েছে? ধর্ষণের ঘটনায় এখনও একজনই অভিযুক্ত, বাকিটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার আদালতে জানাল সিবিআই। অন্যদিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মধ্যে কী কী যোগসূত্র রয়েছে, সেটাও ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। দু’জনকেই ৩ দিনের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই।মঙ্গলবার শিয়ালদা কোর্টে সিবিআই দাবি করে, ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে কল ডিটেলস থেকে। এমনকী, বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার কথা বলেছেন। সেগুলি কাদের নম্বর, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে সিবিআই।
আরজি করের ঘটনার পর প্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ভাবে সন্দীপ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছে সিবিআই। গত শনিবার এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দু’জনকে করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে, অভিজিতের আইনজীবী এদিন বলেন, ‘উনি তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না। সহযোগী ছিলেন। তদন্তে যুক্ত থাকা সরকারি অফিসারকে পদ্ধতি মেনে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিন আদালতে বিচারক শুভাশিস দে জানতে চান, সিবিআই যে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করছে, সেটা খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র, নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে? বিচারক বলেন ‘আপনাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কি যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এরা খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?’ বিচারকের প্রশ্নে CBI জানায়, সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।