সেচ দফতর জানিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানে অতি বৃষ্টির কারনেই দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। ডিভিসি পরিষ্কার জানিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে জল ছাড়ার পরিমাণও লাফিয়ে বাড়বে। সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার জানিয়েছেন, বৃষ্টি বাড়লে বাঁধ থেকে তাদের জল ছাড়তেই হবে।
নিম্নচাপ ও টানা তিন দিনের বর্ষণের ফলে নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। ঝাড়খন্ড সীমান্তে পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। মাইথন বাঁধ থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এবং পাঞ্চেত বাঁধ থেকে ৭০ হাজার কিউসেক। এর ফলে দামোদর নদে জলস্তর বাড়ায় এবার জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতে হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজে কর্তৃপক্ষকে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ২০০ কিউসেক। আশঙ্কা করা হচ্ছে দামোদর তীরবর্তী উপকূল এলাকা সবজায়গায় প্লাবিত হতে পারে। পুজোর আগে প্লাবনের আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে এলাকাবাসীর। দামোদরের তীরবর্তী উপকূল এলাকায় বন্যার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু প্রসাশনের ভ্রূক্ষেপ না দেখানোয় ক্ষুব্ধ জনগণ।