স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, জগন্নাথপুর গ্রামেরই বাসিন্দা ওই ৪ নাবালক। ঘড়িতে তখন ১১টা। আজ, মঙ্গলবার সকালে গ্রামের পাশেই ভেলাঘাট এলাকার বন্য়া দেখতে যায় তারা। গোটা এলাকা কার্যত ভেসে গিয়েছে। সেই জল পেরিয়েই এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে ওই ৪ জন। শেষে রাস্তায় এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাওয়ার সময়ে হঠাত্-ই প্রবল স্রোতে ৪ জনই তলিয়ে যায়।
ততক্ষণে ভেসে চলে গিয়েছে বেশ খানিকটা। ঘটনাটি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের। অনেকটা দূরে গাড়ি ধুয়োচ্ছিলেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করে আনেন ওই যুবকরাই। চিত্কার শুনে ঘটনাস্থলে চলে আসেন গ্রামের কয়েকশো মানুষ। খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়। দীর্ঘক্ষণ পাওয়া যায় নিখোঁজ নাবালকের নিথর দেহ।
গত কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টিতে এখন বন্যা পরিস্থিতি ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। ঘন্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে নদীর দল। কংসাবতী, শিলাবতী, রূপনারায়ণ— কোথাও বইছে বিপদসীমার উপরে, কোথাও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। প্লাবিত ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্যসড়কের বরদাচৌকান এলাকাও। জল ঢুকেছে রাজ্যসড়কের ধারে থাকা দোকানগুলিতেও। ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে ক্রমশই।