আরজি করে চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই হেফাজতে ছিলেন ৩ দিন। আজ, মঙ্গলবার ফের শিয়ালদহ কোর্টে পেশ করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকে। আদালতে সিবিআইয়ে তরফে জানানো হয়, 'হেফাজতে থাকাকালীন যখন জেরা করা হচ্ছিল, তখন ওসি-র মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতেরর মোবাইল থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নম্বর পাওয়া গিয়েছে'।
বিচারক জানতে চান, 'সন্দীপ ও অভিজিত্ কি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত, নাকি প্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্রের মামলায় অভিযুক্ত'? জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করা হচ্ছে না। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হতে পারে। চিকিত্সক ধর্ষণ-খুনের পর ষড়যন্ত্র করেছেন সন্দীপ ও অভিজিত্'। শুনানি শেষে প্রথমে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। এরপর সন্দীপ ও অভিজিত্-কে আরও ৩ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিকে সন্দীপকে যখন শিয়ালদহ কোর্টে পেশ করা হচ্ছিল, তখন আদালত চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু পথ চলতি মানুষ। ধৃতকে জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি FIR দায়ের-ও! শনিবার আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ও অভিজিত্-কে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার শিয়ালদহ কোর্টে পেশ করা হলেই, দু'জনকেই ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।