আলাপন বলেন, 'প্রবল বৃষ্টি কারণে দামোদর ভ্যালি এলাকায়, বিশেষ করে মাইথন পাঞ্চেত ও দূর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে নিম্ম দামোদর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেরও বেশ কিছু জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিচু এলাকা যাঁরা থাকেন, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে আসতে বলা হয়েছে'।
দক্ষিণবঙ্গে নজরদারির দায়িত্বে প্রধান সচিবরা
---
হাওড়া- রাজেশ পাণ্ডে
বীরভূম- রাজেশ সিনহা
পশ্চিম মেদিনীপুর -সুরেন্দ্র গুপ্তা
হুগলি- ওঙ্কার সিং মীনা
পুর্ব মেদিনীপুর -পারভেজ সিদ্দিকী
ঝাড়গ্রাম-সৌমিত্র মোহন
পশ্চিম বর্ধমান-সঞ্জয় বনসল
বাঁকুড়া-অবনীন্দ্র সিং
পুরুলিয়া - পি মোহন গান্ধী
পূর্ব বর্ধমান- পি উলগানাথন
বৃষ্টিতে নদীর জল বাড়ছে। কোথাও নদী বইছে পদসীমার উপরে, তো কোথাও আবার বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা এখন কার্যত জলে তলায়। শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বীরভূমের লাভপুরে প্রবল বৃষ্টি ভেঙে গিয়েছে কুরে নদীর বাঁধ। বন্যার কবলে ১৫টি গ্রাম।
এদিকে বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদীর জলে ভাসছে হুগলির আরামবাগ। ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। নদীর পাড় লাগোয়া এলাকায় মাইকিং করছে পুরসভা। জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে ফসল। মাথা হাত কৃষকদের। বাদ নেই বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার একাংশও। বিকেলের পর দুর্গাপুর ব্য়ারাজ থেকে ২ লক্ষ ৪২ হাজার কিউসেক কিউসেক হাজার জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান মানা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার যে সব অঞ্চল দামোদরের ধারে, সেই জায়গাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।