এই সময়: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির মামলাতেও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে সিবিআই। তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের মামলাতেও ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তারির সময়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছিল সিবিআই।গত ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেন সিবিআইয়ের এসপি। আদালত সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে দুর্নীতির মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। শুধু স্টল বণ্টন বা টেন্ডার ছাড়া কাজ পাইয়ে দেওয়াই নয়, এই হাসপাতালে ২০২১ থেকে সন্দীপ দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সব নিয়োগ হয়েছে, সেখানেও দুর্নীতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই সন্দীপ, তাঁর দেহরক্ষী আফসার আলি খান ও দুই ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। সুমন ও বিপ্লব, দু’জনেই সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আরজি করে এককথায় আলপিন থেকে এলিফ্যান্ট — যাবতীয় সামগ্রী সরবরাহের দায়িত্ব পেতেন। সিবিআইয়ের দাবি, তাদের তদন্তে এঁদের সঙ্গেই এই চক্রে ওই মেডিক্যাল কলেজের আরও বেশ কিছু কর্মী-অফিসারের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে।
এ নিয়ে আরও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে সময় চায় সিবিআই। আর এই তদন্তের সূত্রেই রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও এমন চক্র কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। পুলিশের হাত থেকে এই তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তরের পরে হাইকোর্টের তরফে তদন্ত অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সিবিআইকে।
সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরে মঙ্গলবার মামলাটি উঠলে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ২৫ নভেম্বর সিবিআইকে আবার তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে এএসজি অশোক চক্রবর্তী ও আইনজীবী অমাজিৎ দে বলেন, যে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেখানে নতুন নতুন অনেক তথ্য উঠে আসছে।
পিছনে একটা বড় চক্র আছে। তাই তদন্তে আরও সময় দেওয়া হোক। আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া রিপোর্ট পড়ে এ দিন বিচারপতি জানান, রিপোর্ট দেখা হয়েছে। তবে আরও বিস্তারিত রিপোর্ট চায় আদালত।