চলবে কর্মবিরতি! রাত দেড়টায় ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের, ফের মমতার সঙ্গে বৈঠক চান
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এখনই উঠছে না জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে যে এখনও তাঁদের সব দাবি পূরণ করা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে এখনই কর্মবিরতি উঠছে না। অর্থাৎ তাঁরা এখনই কাজে ফিরছেন না। স্বাস্থ্যভবনের সামনে যে অবস্থান চলছে সেটাও চালিয়ে যাওয়া হবে। সেইসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁদের যে দাবিগুলি এখনও করা পূরণ হয়নি, সেগুলি নিয়ে তাঁরা ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান। সেজন্য বুধবার সকালে রাজ্য সরকারকে ইমেল করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, তাঁরা দ্রুত কাজে ফিরতে চাইছেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র অন্যতম ‘মুখ’ অনিকেত মাহাতো জানান, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছিল। তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সেটার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী সদর্থক পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও এখনও সেরকম কোনও কাজ চোখে পড়েনি।
জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেছেন, তাঁদের যে পাঁচ দফা দাবি ছিল, সেগুলির মধ্যে চতুর্থ পূরণ করা হয়নি। তাঁরা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন, সেগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও আলোচনা হয়েছে। ফলে সুরক্ষা নিয়ে তাঁদের দাবি যে সঠিক, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সেইসঙ্গে তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে দেয়নি রাজ্য সরকার। সেইসব বিষয় নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সকালে সেই বিষয়ে ইমেল করা হবে। গতবার ভোররাতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইমেল করা নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছিল , সেই প্রেক্ষিতে রাতে আর মেল করছেন না বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
১) কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২) কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৩) স্বাস্থ্য অধিকর্তা কৌস্তুভ নায়েককে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে।
৪) স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
৫) জুনিয়র ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।