মেটেলির পিলখানায় হাতিপুজো দেখতে জমজমাট ভিড়, অংশ নিলেন পর্যটকরাও
বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ গোরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের তিনটি বিটের বিভিন্ন ক্যাম্পের পিলখানায় মোট ২৮টি হাতির পুজো দেওয়া হল। তবে গাছবাড়িতে হাতিপুজো দেখতে ভিড় জমে পর্যটকদের।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নিষ্ঠার সঙ্গে পিলখানায় হাতিপুজো করা হল। পুজো উপলক্ষে হাতিদের ছুটি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের ফলমূল খাওয়ানো হয়। গাছবাড়ির পাশাপাশি গোরুমারা, মেদলা, গরাতি, টন্ডুর পিলখানায় ভিড় ছিল স্থানীয়দের। তবে গাছবাড়ি পিলখানাতেই ঘটা করে পুজো হয়। কুনকি হাতিদের সঙ্গে পর্যটকরা সেল্ফিও তোলেন। পুজোর পর সকলকেই খিচুড়ি খাওয়ানো হয়।
হাওড়া থেকে ডুয়ার্স ভ্রমণে আসা পর্যটক রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হাতি সাফারি করব বলে সকাল সকাল এসেছিলাম। কিন্তু, এসেই শুনলাম হাতির পুজো করা হবে। তাই সাফারি বন্ধ। তাতে আক্ষেপ নেই, বিশ্বকর্মার বাহন হাতির পুজো এই প্রথম দেখলাম। অসাধারণ, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আগামী বছর ফের আসব বিশ্বকর্মা পুজোর দিন হাতিপুজো দেখতে।
গোরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের এডিএফও রাজীব দে বলেন, তিনটি বিটের মোট ২৮টি হাতির এদিন পুজো দেওয়া হয়েছে। এদিনটি ওদের জন্য বিশেষ দিন। তাই ছুটি দেওয়া হয়েছে। হাতিদের ভালো ফলমূল খেতে দেওয়া হয়েছে।
গাছবাড়ি পিলখানায় ১৯৯৬ সাল থেকেই হাতিপুজোর হয়ে আসছে। হাতিদের সকালে উপোস করে রাখা হয়। পাশেই মূর্তি নদীতে স্নান করানো হয়। এরপর প্রতিটি হাতির গায়ের তাদের নাম লিখে রংবেরঙের চক দিয়ে সাজানো হয়। এরপর গাছবাড়ি মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরোহিত প্রথমে বিশ্বকর্মার পুজো করেন, পরে হাতিদের পুজো করেন। এরপর হাতিদের কলা, আঁখ, আপেল, নাসপাতি সহ বিভিন্ন ফলমূল খাওয়ানো হয়। পুজোতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পর্যটকরাও অংশ নেন। শেষে সবাইকে কলাপাতায় খিচুড়ি খাওয়ানো হয়।