• ‘পুষ্টি মাসে’ অঙ্গনওয়াড়ির খাবারের দিকে বিশেষ নজর
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সেপ্টেম্বর মাসকে ‘পুষ্টি মাস’ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এই মাসে অঙ্গনওয়াড়ির খাবারে বিশেষ নজর দিচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি এনিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে বৈঠক হয়। জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা, সুপারভাইজার এবং সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক এবং প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে বলা হয়েছে, অনেকেই অঙ্গনওয়াড়ি থেকে খাবার নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এখন থেকে তা করা যাবে না। মা ও শিশুকে আইসিডিএস সেন্টারে বসেই খেতে হবে। নিয়মিত শিশুদের উচ্চতা ও ওজন মাপতে হবে। কোনও শিশুর পুষ্টিতে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিশেষ খোঁজ রাখতে বলা হয়েছে। তাদের পুষ্টিতে যাতে খামতি না থাকে, সেই সঙ্গে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। কোথাও যদি চরম অপুষ্টির শিকার বা ‘রেড শিশু’ পাওয়া যায়, তাদের খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। সেই শিশুকে প্রতিদিন অঙ্গনওয়াড়িতে এনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেই শিশুর কোনও অসুখ রয়েছে কি না তা জানতে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

    জেলা প্রোগ্রাম অফিসার (ডিপিও) আনন্দময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন রিভিউ মিটিংয়ে অঙ্গনওয়াড়ির কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক নতুন সুপারভাইজার যোগ দিয়েছেন। তাঁরা কীভাবে কাজ করবেন, তা বলা হয়েছে। অপুষ্টির শিকার শিশু পাওয়া গেলে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, জেলায় অনেক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নেই। সেগুলি কারও বাড়িতে কিংবা ভাড়াবাড়িতে চলছে। ফলে নানা সমস্যা হচ্ছে। ডিপিও বলেন, আমরা জমির জন্য বলেছি। জমি পাওয়া গেলে অঙ্গনওয়াড়ির নিজস্ব ভবন হবে। না হলে আমরা চেষ্টা করছি, কাছাকাছি স্কুলে যাতে অঙ্গনওয়াড়িকে স্থানান্তরিত করা যায়।
  • Link to this news (বর্তমান)