• ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ করতে সন্দীপকে কি কেউ নির্দেশ দিয়েছিল? উত্তর খুঁজছে সিবিআই 
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ করার জন্য আর জি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেউ কি নির্দেশ দিয়েছিলেন? উত্তর খুঁজছে সিবিআই। যথাযথ ধারায় এফআইআর না করায় এই জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে। কে সেই ব্যক্তি, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই কারণে সন্দীপের মোবাইলের ‘কল ডিটেইলস’ ভালোভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

    আর জি করে তরুণী চিকিৎকের দেহ পাওয়া গিয়েছিল সেমিনার হলে। দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন চিকিৎসক সহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত। সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, সেমিনার হল থেকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে জমা দেওয়া রিমান্ড কপিতে সিবিআই জানিয়েছে, খবর পাওয়ার পরও প্রাক্তন অধ্যক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থেকেছেন। ঘটনাস্থল ভালো করে মনিটরিং করেননি। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল সংরক্ষণ অর্থাৎ ওই জায়গা ঘিরে রাখার জন্য কোনও উদ্যোগ নেননি তিনি। অথচ এই কাজ তাঁরই করা উচিত ছিল।  সিবিআইয়ের বক্তব্য, এমন ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেমিনার হল তালাবন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। প্রাক্তন অধ্যক্ষ নিজেও একজন ডাক্তার।  তাই সেখানে অনেক লোক ঢুকলে যে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে, বিষয়টি তাঁর ভালোভাবেই জানা ছিল। দেরিতে এফআইআর করলেও যথাযথ ধারা দেননি। এখন তদন্তকারীরা বুঝতে চাইছেন, কেন অধ্যক্ষ এমন করলেন? কোনও ব্যক্তির নির্দেশে কি তিনি এই ‘গাফিলতি’গুলি ইচ্ছে করেই করেছেন? এখানেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিষয়টি এসে পড়ছে। টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সত্য সামনে আনা দরকার।  দু’জনের ফোন থেকেই বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। সেসবের ভিত্তিতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি এ বিষয়ে জড়িত সাক্ষীদের জেরা করা হতে পারে। আরও কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে কি না, তদন্তকারীরা তাও দেখে নিতে চাইছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)