• নিয়োগ নির্দেশ লঙ্ঘনে প্রকৃত দোষীকে খুঁজতে নির্দেশ অর্থসচিবকে
    বর্তমান | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাবার মৃত্যুতে ছেলেকে অনুকম্পাজনিত নিয়োগ বা কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে অ্যাপয়েন্টমেন্টের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। তার জন্য আগেই কোপে পড়তে হয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। আর ঠিক কোন আধিকারিকদের জন্য নির্দেশ কার্যকর হয়নি, এবার তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। 

    কর্মরত অবস্থায় বাবার মৃত্যুতে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে অ্যাপমেন্টের আবেদন জানানোর পর স্বাস্থ্যদপ্তরে আবেদন জানান ছেলে সুরজ রাউত। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সুইপারের কাজ করতেন সুরজের বাবা। কিন্তু আবেদনে কোনও সাড়া না মেলায় পরে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু স্যাট তাঁর দাবিকে মান্যতা দেয়নি। এরপর স্যাটের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীকে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে অ্যাপমেন্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছিল আদালত। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও নিয়োগ পাননি সুরজ। এরপর তিনি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় নির্দেশ কার্যকর না-হওয়ায় তৎকালীন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার অবসরকালীন ভাতা ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধের পাশাপাশি অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (পার্সোনেল) এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল-কাম-সুপারের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    সম্প্রতি মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ মেনে ৭ সেপ্টেম্বর ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও নির্দেশ কার্যকর না-হওয়ার জন্য কারা প্রকৃত দায়ী তা খুঁজে বার করতে অর্থসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মাসে। তার মধ্যেই রিপোর্ট দিতে হবে। এমনকী, সুরজকে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বেতন-সহ যাবতীয় সুবিধা প্রদানেরও নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। 
  • Link to this news (বর্তমান)