• বিকাশকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, সাহায্যের আশ্বাস
    আনন্দবাজার | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বীরভূমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হল সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর। তিনি জানান, জেলায় দু’জনের মৃত্যুর খবর জেনে মুখ্যমন্ত্রী সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার সিউড়ি ১ ব্লকের ভুরকুনা পঞ্চায়েতে বক্রেশ্বর নদীর উপর কামারডাঙাল সেতু পরিদর্শন করার সময় বিকাশের কাছে ফোন আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম জেলায় অতিবৃষ্টির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান বিকাশের কাছে৷ বিকাশ বলেন, “কামরডাঙাল সেতু ভেঙে যাওয়ার কথা আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এখানে যাতে একটি পাকা সেতু করা যায়, তার জন্যও অনুরোধ করেছি৷ পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইলামবাজার ও কড়িধ্যায় দু'জনের মৃত্যুর কথাও তাঁকে জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় সরকারি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” বিকাশের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী জেলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আমাদের সকলকেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকমভাবে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।”

    এ দিন সকাল থেকেই সিউড়ি বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন বিকাশ। অতিবৃষ্টির ফলে ভেঙে যাওয়া সেতু, ভেঙে পড়া মাটির বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রাস্তা ইত্যাদি খতিয়ে দেখেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসগুলি খোলা হয়েছে, সেগুলিও পরিদর্শন করেন। সিউড়ি ১ ব্লকের ভুরকুনা, আলুন্দা ও মল্লিকপুর পঞ্চায়েতেই ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি৷ এই তিনটি পঞ্চায়েতই ঘুরে দেখেন বিকাশ। প্রায় ৫০০ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে ত্রিপল, জামাকাপড় ও কিছু শুকনো খাবার তুলে দেন তিনি।

    অতিবৃষ্টির কারণে সিউড়ি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গাছ পড়ে মারা যান কড়িধ্যার বাসিন্দা ননীগোপাল ব্যাপারী। এ দিন বিকেলে তাঁর বাড়িতেও যান বিকাশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মৃতের পরিবারের হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য ও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেন তিনি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নির্দেশ দেন পরিবারের প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতে।

    বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেও সুর চড়ান বিকাশ। তাঁর অভিযোগ, “আজ মাটির বাড়িতে মানুষের এত কষ্টের কারণ হল বিজেপি। ওরা আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে৷ তবে, ডিসেম্বর থেকে রাজ্য সরকারই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করবে।” তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। তাঁর দূত হয়েই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি।’’

    বিকাশের অভিযোগ শুনে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপিও। দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “ওরা চুরি না করলে আজ এই পরিস্থিতি হত না। রাজ্য সরকার যদি বাড়ি তৈরির টাকা দেয়, তাহলে সেখান থেকেও তৃণমূলের লোকেরাই কাটমানি খাবে৷”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)