তিন মাসের অপেক্ষা শেষে সোমবার খুলেছে ডুয়ার্সের জঙ্গল। খোলার সঙ্গে-সঙ্গেই চোখে পড়ার মতো পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছে বক্সায়। অধিকাংশ পর্যটন ব্যবসায়ী ও গাইডদের দাবি, অন্য বারের তুলনায় এ বার বক্সায় একেবারে শুরু থেকে পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই বেড়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল, জয়ন্তী গ্রাম, মহাকাল দর্শনে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গাইডদের একাংশের দাবি, গত বছর প্রথম দিন যেখানে ১০ থেকে ১২টা সাফারি হয়েছিল সেখানে এ বছর জঙ্গল খোলার প্ৰথম দিনই সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৪০টা সাফারি হয়েছে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবারও সেই সংখ্যাটা খুব একটা কমেনি। উত্তরবঙ্গে মুখ্য বনপাল জে ভি ভাস্কর বলেন, ‘‘এটা খুবই ভাল ইঙ্গিত। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে, তাঁরা যে কর দেন তার পরিমাণও বাড়বে এবং এর ফলে যৌথ বন সুরক্ষা কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের আমরা বনবস্তির উন্নয়নের জন্য বেশি বরাদ্দ দিতে পারব।’’
বর্ষায় তিন মাস বন্ধ থাকার পরে, জঙ্গল খোলার এই দিনটির দিকে তাকিয়ে থাকেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। বক্সার এক গাইড মনোজ ঘোষ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এ দিন বিকেল পর্যন্ত সাফারির সংখ্যা অন্য বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি। জঙ্গল খোলার পরের দিন বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, এ দিন ভিড় কিছুটা কম হবে। কিন্তু এ বছর সেটা হয়নি।’’ এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা টুরিজ়ম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানব বক্সী বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ায় আমরা খুশি। এ ভাবে চলতে থাকলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পর্যটন ব্যবসা অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াবে,এমনটাই আশা করছি।’’ ডুয়ার্স টুরিজ়ম ডেভলমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি পার্থসারথি রায়ের বক্তব্য, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছিল, বক্সা পাহাড়ের দিকে তেমন পর্যটক হচ্ছে না। অধিকাংশই জঙ্গলের তুলনায় পাহাড়ের দিকে ঝুঁকছেন। তবে এ বার, দুর্গাপুজোর অগ্রিম বুকিং ইতিমধ্যেই অধিকাংশ জায়গায় হয়ে গিয়েছে।’’