নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: মঙ্গলবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিশ্বকর্মা পুজো হল কৃষ্ণনগরের পিডব্লুডির নদীয়া ডিভিশন হাউসিং ডিপার্টমেন্টে। কর্মের দেবতার এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ডিপার্টমেন্টের আট থেকে আশি সকলেই মেতে ওঠেন। কর্মচারীদের পাশাপাশি ঠিকাদাররাও শামিল হন এই পুজোয়। সকাল থেকে ঢাকের আওয়াজে গমগম করে অফিস চত্বর। রঙিন আলোয় বিল্ডিং রাঙিয়ে তোলা হয়। অফিসের কর্মচারীদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করল ডিপার্টমেন্টের বিশ্বকর্মা পুজো। চিপ ইঞ্জিনিয়ার হাউসিং ডিরেক্টেরটের অধীনে রয়েছে এই নদীয়া ডিভিশনের অফিস। জেলাশাসকের অফিস থেকে কিছুটা দূরে সার্কিট হাউস চত্বরেই রয়েছে এই অফিস। নদীয়া ছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলার কাজও এই অফিস থেকে হয়। ডিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে অত্যন্ত ধুমধাম করে এখানকার কর্মচারীরা বিশ্বকর্মা পুজো করে আসছেন। কর্মচারীদের দাবি, প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ সত্ত্বেও এবছর কর্মচারীবৃন্দ বিশ্বকর্মা পুজোর আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন। আশ্বিনের শুরুতে এই পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনের বার্তা বহন করে আনে। এবার কুলো, থার্মোকল, বেলুন দিয়ে বাচ্চারা পুজোর মণ্ডপ তৈরি করে। তাই এবার ডিপার্টমেন্টের এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাচ্চাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দপ্তরের কর্মী অপরেশ মোদক বলেন, প্রতি বছর আমাদের এখানে সাড়ম্বরে বিশ্বকর্মা পুজো হয়। এবছরও ব্যতিক্রম নয়। বাচ্চারা মণ্ডপ সাজিয়েছে। এটা আরও বেশি আনন্দের। এই দিনটিতে আমরা উৎসবের আনন্দে মেতে উঠি।