মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর তিয়রপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল আলম (৪০)। তাঁর বাবা বুলমাজন, সংবাদমাধ্যমে জানান, ছেলের যখন প্রায় ১৮ বছর বয়স, সেই সময় তার মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তাকে বহরমপুর মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসাও করান। কিন্তু কাজ হয়নি তাতে। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ছেলেকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয়নি। বুলমাজন বাবুর একটি ছোট্ট পানের দোকান রয়েছে বাড়ির সাথে। সরকারি খাস জায়গায় বাড়ি। চাষের কোনও জমিও নেই। তাই কোনরকমে পেট চালিয়ে ছেলের চিকিৎসা করানো আর সম্ভব হয়নি অসহায় বাবার। বিভিন্ন জায়গায় জানানোর পরেও চিকিৎসার কোনও সাহায্য তো দূরে থাক দেখা পাওয়া যায়নি কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক বা জন-প্রতিনিধির। তিনি আরও জানান, ছেলে বারবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যেত। তাই বাধ্য হয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় ছেলেকে। ভেবে ছিলেন প্রশাসনিক কোন সাহায্য পাবেন কিন্তু সেটাও পাননি। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও তা কোন কাজে আসেনি।
এই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং ব্লক প্রশাসন পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রী তাজমুল জানান, 'স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে এই চিকিৎসা হয় না। এর আগে বহরমপুরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তীতেও আমরা দেখছি।' কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা প্রশ্ন, 'তবে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রেখে লাভ কি। এর আগে থেকেই বলে দিক এই কার্ডে কারা চিকিৎসা পাবে আর কারা পাবে না। আসলে রাজ্য-জুড়ে অসহায় কোন মানুষ সরকারের সাহায্য পায় না। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান যোজনা প্রকল্প এরা চালু হতে দিচ্ছে না।'