৫ বছর পার। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে তত্কালীন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাসের খুনের মামলা রায় ঘোষণা করল বিধানগরের বিশেষ আদালত। কবে? আজ, বুধবার। বেকসুর খালাস পেলেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক মুকুল রায় ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। মামলা দায়ের হওয়ার পর ৫ বছর ধরে শুনানি চলে বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতে। ৫২ জন সাক্ষ্য দেন।
নিহত বিধায়কের ভাই সুজিত বলেন, 'মুকুল রায় এই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলেন না। মুকুল রায় দাদার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। এই খুনের ষড়যন্ত্র করেছে জগন্নাথ সরকার'। তাঁর দাবি, 'বেকসুর খালাস করার নিয়ম নেই। কারণ জগন্নাথ সরকারের সাথে অভিজিৎ পুণ্ডারীর তিনবার কথা হয়েছে'। সঙ্গে প্রশ্ন, 'বিচার ব্যবস্থা আছে নাকি পশ্চিমবাংলায়'?
চুপ করে থাকেননি জগন্নাথও। তাঁর পাল্টা দাবি, 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। কোনও শাস্তি পাইনি। ১ বছর পরে কেস সাজিয়ে ১৬৪ করা হয়েছে। ।২ জনকে সাক্ষী সাজিয়ে...আমরা নামটাও জানে না। সে গিয়ে বলেছে, জগন্নাথ রায়'! বলেন, বিচার বিভাগকে সম্মান দেওয়া উচিত। আমি তো ওর বিরুদ্ধে মিথ্যা দশ-পাঁচটা অভিযোগ করতে পারি। ভাইয়ের সম্পত্তি দখলের জন্য ভাইকে খুন করাতে পারে। শুধু তাই নয়, বউটাকে তাড়িয়ে দিয়েছে সম্পত্তির লোভের জন্য। একথা আমি বলতে পারি। আমি ওদের মতো ছোটলোক নই'।
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের রাতে নদিয়ার হাঁসখালিতে খুন হন সত্য়জিত্। স্থানীয় মাজিদপুর দক্ষিণপাড়ার ফুলবাড়ি ফুটবল মাঠে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসেছিলেন তিনি। খুব কাছ থেকে মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তত্কালীন তৃণমূল বিধায়কের। ঘটনা শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য়ে।