তিন ঘণ্টা ধরে শারীরিক অত্যাচার করা হয় তাদের ওপর। বুধবার বিকেলেও সেই অত্যাচারের চিহ্ন স্পষ্ট তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে। তাদের পরিবারের অভিযোগ, রাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি রাতে আহত ওই দুই ছাত্রকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। এগিয়ে আসেনি কোন নিরাপত্তা রক্ষী বা হস্টেলের দায়িত্ব থাকা কর্মীরা। এমনকি ছাত্রদের বাড়িতে যাতে জানাতে না পারে সেই জন্য হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। বুধবার দিনভর আহত দুই ছাত্রের পরিবার স্কুলের কাছে এসে মেডিকেলের কাগজ চাইতে থাকেন স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের মেডিকেলের কোন কাগজ দিতে পারেনি।
নবদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এমকে ঝা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ৪ ছাত্রকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রতিদিন সিনিয়র স্টুডেন্টরা জুনিয়র স্টুডেন্টদের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে। স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেয়না স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকি হস্টেলে নেশার প্রচলন আছে বলে দাবি করেছেন আহত ছাত্রদের পরিবার। বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আহত ছাত্রদের পরিবারের লোকজন ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্কুল চত্বরে। র্যাগিংয়ের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে অধ্যক্ষ বলেছেন, একটা সামান্য ছেলেদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় র্যাগিংয়ের কোনো গল্প নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনা জানার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযুক্ত চার ছাত্রকে।