পুলিস সূত্রে খবর, ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সের একটি কারখানার বিশ্বকর্মা প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসেছিলেন ওই কারখানার ২২ জন শ্রমিক। আজ দুপুর তিনটে নাগাদ লরিতে চাপিয়ে প্রতিমাকে নিয়ে আসা হয় শিবপুর ঘাটে। সেই সময় গঙ্গায় জোয়ারের টান ছিল। গঙ্গায় জল স্তর বেশ ভালোই ছিল। সেই সময় লরিটি যখন গঙ্গার ঘাটে দাঁড় করানো হয় সেই সময় পিছনের চাকায় কাঠের টুকরো দিয়ে আটকানো ছিল।
তা সত্ত্বেও লরি থেকে প্রতিমা নামানোর সময় লরিটি হঠাৎ পিছনের দিকে গড়িয়ে সোজা গঙ্গায় নেমে যায়। এই ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তারা লরি থেকে মাটিতে ঝাঁপ মারে। এই ঘটনা কেউ আহত না হলেও ঘাটে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শিবপুর থানার পুলিস। কিভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতোমধ্যেই গঙ্গা থেকে লরিটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলে বিপর্যস্ত এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়ার ১২০০০, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৩০০০, হাওড়া জেলার ৪০০০ ও বীরভূম জেলার প্রায় ২০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। DVC জল ছাড়ায় প্লাবিত হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের একাংশ। নবান্নে ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। এমতাবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হুগলির পরশুরায় যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় আবারও শোনা গেল ‘ম্যান মেড বন্যা’র কথা।