আরজি কর-কাণ্ডে ইতিমধ্যে সন্দীপকে শোকজ় করা হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে। তখনও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হননি। সন্দীপকে সাসপেন্ড করে IMA। বাতিল করে দেওয়া হয় সদস্যপদও। আইএমএর কলকাতা শাখায় বেশ উল্লেখযোগ্য পদে ছিলেন এই সন্দীপ। দাপটও কিছু কম ছিল না। তবে রেজিট্রেশন বাতিল প্রসঙ্গে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বক্তব্য ছিল, কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে ততক্ষণ তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় না। কিন্তু কেউ যদি অবাঞ্ছনীয় কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাউন্সিলের পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকতে হয়। আর সেই বৈঠক ডাকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সভাপতি নেবেন।
তবে ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্যাসোসিয়েশন চিঠি দিয়ে দাবি করে, ৭ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, কেন রেজিস্ট্রশন বাতিল করা হবে না? ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তিনি শোকজের জবাব দেননি। আমরা জানতে চাই, তারপরেও কেন সংবিধান মেনে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করলেন না'? তারপরই নিজেদের পক্ষ রেখেছিল কাউন্সিল।
যদিও এরপরই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে এই খবর সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে সিবিআই। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাঁকে ধর্ষণ-খুন মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়।