গত শনিবার আরজি কর খুন ও ধর্ষণের মামলায় সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনার সঙ্গে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তাদের আড়াল করার চেষ্টার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের দাবি, দেরিতে এফআইআর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। যে এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও।
শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই দাবি করে, 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে'। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই আছেন অভিজিত্ মণ্ডল। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওসির মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কল লিস্ট জোগাড় করা হয়েছে। হেফাজতে থাকাকালীন বেশকিছু মোবাইল নম্বরও তাদের নজরে এসেছে। যা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ওদিকে আরজি কর-কাণ্ডে ওসি গ্রেফতার হতেই পুলিসের নিচু মহলে রীতিমতো ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ফেসবুকের ডিপি কালো করে দিয়েছেন ইনস্পেক্টর এবং সাব-ইনস্পেক্টরদের অনেকেই।
এই পরিস্থিতিতে ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে নিজে গিয়েছেন কলকাতা পুলিসের অ্যাডিশনাল সিপি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিসি ইস্টও। অ্যাডিশনাল সিপি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ওসির কোনও দোষ নেই। যা কিছু করেছেন, সত্ উদ্দেশ্যেই করেছেন।'