আসানসোলের রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতির মণ্ডপ সাজছে কর্ণাটক বিধানসভার আদলে
বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: বেঙ্গালুরুর অন্যতম দর্শনীয় স্থান। যার গঠনশৈলী নজর কাড়ে পর্যটকদের। স্বাধীন ভারতে ১৯৫৮ সালে এই ভবনের সূচনা হয়। এটিই কর্নাটক রাজ্যের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। সেটি হল কর্ণাটক বিধানসভা ভবন। তবে আসানসোলবাসীকে আর বেঙ্গালুরু গিয়ে ভবনের রূপ দেখতে হবে না। এবার ওই ভবন উঠে আসছে আসানসোলের রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতির পুজোমণ্ডপে। ৫১তম বর্ষে তাদের থিম কর্ণাটক বিধানসভা ভবন। মণ্ডপের ভিতরের কাজ এখন থেকেই নজর কাড়ছে। প্রতিমা আসছে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। থাকছে চমকও। প্রতিবারের মতো এবারও সাড়ম্বরে পুজোর আয়োজন করে আসানসোলবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে প্রস্তুত পুজো উদ্যোক্তারা।
আসানসোলের রবীন্দ্রনগরের পুজো শহরবাসীর বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আসানসোল-বার্ণপুর রাস্তার উপর কোর্ট মোড়ের অদূরে রাস্তায় পাশেই আয়োজিত হয় এই পুজো। এবার মণ্ডপের কাজ হচ্ছে মূলত ফাইবারের উপর। সেখানে যে রং করা হচ্ছে তা আগুন লাগা ঠেকাতে পারে বলে শিল্পী বিষ্ণু মণ্ডলের দাবি। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে থার্মোকলের কাজ করা হচ্ছে না। পুজো কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক মন্ত্রী মলয় ঘটক। চতুর্থীর দিন পুজো উদ্বোধন করবেন তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, মায়ের সাবেকি রূপ দেখলেও মানুষ মোহিত হয়ে যাবে। শুধু প্রতিমা গড়তেই খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। পুজোর বাজেট ২০ লক্ষ টাকা।
পুজো উদ্যোক্তা সুদীপ রায়, প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব, মায়ের প্রসাদ বিতরণ। এলাকার প্রায় সাতশো পরিবার রয়েছে। তাঁরা পুজোয় বাড়িতে রান্না করেন না। আমরাই মায়ের প্রসাদ তাঁদের দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এরজন্য কুপনের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার সপ্তমী ও অষ্টমী একদিনেই পড়েছে। সেদিন খিচুড়ি প্রসাদ, নবমীর দিন পোলাও। পুজোর সম্পাদক সুমন বসু বলেন, সর্বজনীন হয়েও এ যেন এক পারিবারিক পুজো। সবাই এক হয়ে আমরা বাড়ির পুজোর মতো করেই যত্ন করে মায়ের আরাধনা করি। -নিজস্ব চিত্র