• ন’মাসে শিলিগুড়ি ও মাটিগাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট ১০৮জন
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বাঁশেই বিপদ! শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বাঁশের বেড়ার খুঁটিতে জমেছে বৃষ্টির জল। অভিযোগ, স্বাস্থ্যদপ্তর এ ব্যাপারে প্রচার করলেও প্রশাসনের হুঁশ নেই। তাই বাঁশের খুঁটির জলে তৈরি হয়েছে ডেঙ্গুর বাহক মশার আঁতুরঘর। পুজোর মুখে এনিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি শহর ও মাটিগাড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও দু’জন। ন’মাসে এনিয়ে সংশ্লিষ্ট দু’টি এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮জন।


    মশা বাহিত ডেঙ্গু দমনে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ইতিমধ্যে তারা পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে বিভিন্ন পুজো কমিটিকে মণ্ডপের বাঁশের মাথায় ক্যাপ পড়াতে বলা হয়েছে। কিংবা বালি চাপা দিতে বলা হয়েছে। অথচ, শিলিগুড়ি শহরে পুরসভার তৈরি বাঁশের বেড়ার খুঁটির মাথা উন্মুক্ত। সূর্যসেন পার্কের পিছনে মহানন্দা নদীর চরে বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে বন তৈরি করছে পুরসভা। তারা সেই এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হওয়ায় বেশ কিছু খুঁটির মাথায় জমেছে বৃষ্টির জল। সেভক রোডের একাংশে ডিভাইডারের দু’পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। সেখানেও বাঁশের খুঁটির মাথায় জমেছে জল। তাতে বিভিন্ন ধরনের পোকা কিলবিল করছে।


    শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত অবশ্য বলেন, মশার আতুরঘর ভাঙতে নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বাড়ি, আবাসন, পতিত জমি ঘুরে প্রচুর আতুরঘর ধ্বংস করা হয়েছে। ওই বাঁশের বেড়াগুলি নজরে এসেছে। শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


    মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা, চম্পাসারি, আঠারোখাই প্রভৃতি এলাকাতেও মিলেছে একই ছবি। বাজার ও হাটের কিছু দোকান, বাড়ি, মাচা, ঘেরা দেওয়া বাগানের বাঁশের খুঁটির মাথা উন্মুক্ত। সেগুলির জলেও বিভিন্ন ধরনের পোকা কিলবিল করছে। প্রশাসনের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ইতিমধ্যে মশার প্রচুর আঁতুরঘর ধ্বংস করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় বাঁশের মাথায় বালি চাপা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীদেরও উদ্যোগী হতে হবে। পুজো কমিটিগুলিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। কাজেই, প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ঠিক নয়।


    এদিকে, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। মাটিগাড়ার আঠারোখাইতে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। প্রশাসন সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শিলিগুড়ি শহরে ৫২জন এবং মাটিগাড়ায় ৫৬জন আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর মুখে এনিয়ে শহর ও গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। প্রশাসনের আধিকারিকররা অবশ্য বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ধারাবাহিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)