• হু হু করে ফুলহারের জল ঢুকছে ভূতনিতে  
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: কেশরপুরের পর দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধের অংশ দিয়ে ফুলহারের জল হু হু করে ঢুকছে ভূতনিতে। এতে ফের  বন্যা  পরিস্থিতির আশঙ্কায় ভূতনিবাসী। বুধবার নতুন করে জলমগ্ন হয় কয়েকটি এলাকা। এদিকে গঙ্গার জলস্তর একলাফে বাড়ল প্রায় ৩১ সেন্টিমিটার। তবে পরিস্থিতি নজরে রাখছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও এবং সেচদপ্তরের আধিকারিকরা এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। আজ, বৃহস্পতিবার বিধায়ক সাবিত্রী ফের ভূতনি পরিদর্শনে যাবেন। 


    কয়েকদিন ধরে ভূতনির মানুষ ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এরইমধ্যে আবার বিপদ। কেশরপুরের কাটা বাঁধের অংশ দিয়ে গ্রামে ফের ঢুকছে গঙ্গার জল। অন্য জায়গা দিয়েও গঙ্গার জল গ্রামে ঢুকছে।


    কেশরপুরে সেচদপ্তর আগেই বালির বস্তার মাধ্যমে জল আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু জলের স্রোত আটকানো যায়নি। তারমধ্যেই এই বিপত্তি। দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বাঁধের যে অংশ কেটে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল সেখান থেকে আবার ঢুকতে শুরু করেছে জল। দু’দিক থেকে জল ঢোকার ফলে আবারও বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় ভূতনিবাসী। ইতিমধ্যে কালুটনটোলা, অশোকনগর কলোলির গ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে।


    মঙ্গলবার গঙ্গার জলস্তর ২৪.১৪ মিটার থাকলেও বুধবার তা একলাফে প্রায় ৩১ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৪৫ মিটারে। আগামী কয়েকদিন আরও জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।


    অশোকনগর কলোনির বাসিন্দা শেখ রেজাউল বলেন, এলাকা জলমগ্ন বহুদিন বাড়িছাড়া ছিলাম। কিছুদিন আগেই ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি ফিরেছি। বাড়ি গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তারমধ্যে গ্রামে এলাকায় জল ঢোকায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। গ্রামের সবাই আতঙ্কে রয়েছি। আবার কি বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের? উত্তর অজানা।


    এদিকে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধের অংশ দিয়ে জল ভূতনিতে ঢুকে  পুলিনটোলা, গিরিটোলার রাস্তাঘাট ও বেশকিছু বাড়ি নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, জলের তোড়ে সড়কপথে উত্তরচণ্ডীপুরের সঙ্গে মানিকচকের যোগাযোগ আবারও বিচ্ছিন্ন হতে পারে।


    মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির স্বামী তথা তৃণমূলের মানিকচক ব্লক সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষের চোখে মুখে ফের আতঙ্কের ছাপ। উত্তর চণ্ডীপুরের বেশকিছু এলাকায় জল ঢুকছে। দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধের জায়গায় বালির বস্তার মাধ্যমে জল আটকানোর কাজ করলেও তা ধীর গতিতে চলছে। বিষয়টি মানিকচক ব্লক প্রশাসন, সেচদপ্তর এবং বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে জানানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে উঠতে পারে। 
  • Link to this news (বর্তমান)