• কোচবিহারের তিনটি নদীর পাড় বাঁধাইয়ে বরাদ্দ এক কোটি টাকা
    বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: এবারের বর্ষায় একাধিক নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোচবিহারে। কোনও নদীর পাড় ধসে যাওয়ায় বসতবাড়ি বিপন্ন। কোথাও আবার কৃষিজমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ক’দিন ধরে জল বৃষ্টি হচ্ছে না। নদীর জল কমলেও ভাঙন পুরোপুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই তোর্সা,  ঘরঘড়িয়া, জলঢাকা সহ কোচবিহারের একাধিক নদীতে ভাঙন চলছে। নদী পাড়ের মানুষ ভাঙনের মুখে পড়ে সেচদপ্তরের দ্বারস্থও হয়েছে। 


    দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, পুজোর পরপরই কাজ শুরু করা হবে। জেলার জলঢাকা, তোর্সা ও ঘরঘড়িয়া নদীর পাড় বাঁধাইতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করা হবে। কোচবিহারের মাগুরমারি, ঘরঘড়িয়া ও ঘুঘুমারিতে কাজের জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। তিন জায়গায় সাড়ে সাতশো মিটারেরও বেশি এলাকায় পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করবে সেচদপ্তর। 


    কোচবিহারের সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বদরুদ্দীন শেখ বলেন, এক কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর পাড় বাঁধাই করা হবে। কোচবিহারের তিনটি জায়গায় কাজ করার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। 


    মাগুরমারিতে আছে জলঢাকা নদী। সেখানে ১২০ মিটার পাড় বাঁধাই করতে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা। তোর্সার নদীর ডান দিকে ঘুঘুমারিতে ভাঙন বেড়েছে। ওই এলাকায় ৩০০ মিটার পাড় বাঁধবে সেচদপ্তর। এ জন্য ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কোচবিহার-২ ব্লকের ঘরঘড়িয়া নদীর কাছে ঘরঘড়িয়া গ্রাম ভাঙনে জর্জরিত। সেখানে ৩৫০ মিটার এলাকায় পাড় বাঁধাই করা হবে। এই কাজে ৪৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 


    সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর জল কমলেও একদম শেষ জায়গায় এসে পৌঁছয়নি। সেই কারণে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। পুজোর পর জল অনেকটাই কমে যাবে। সেই সময় নদীর পাড় সংস্কারের কাজের আদর্শ সময়। সেই হিসেবেই অগ্রিম টেন্ডার করা হচ্ছে। জল কমলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)