ভারতীয় ডাকঘর থেকে বদ্রীনাথ রোমান স্থাপত্যও ফুটে উঠবে মণ্ডপে
বর্তমান | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: ফি বছরের মতোই নজরকাড়া থিম এনে চমক দিতে তৈরি জয়নগর। বৃষ্টির মধ্যেই চলছে প্রস্তুতি। ডাকঘরের সেকাল-একাল থেকে শুরু করে উত্তরাখণ্ডে বদ্রীনাথের মন্দির, কোথাও রোমান স্থাপত্য, নীলকণ্ঠ মন্দির, ভ্রূণহত্যার ক্ষতিকর দিক, মাটির কুলো, সরা ইত্যাদি সবই এবার দেখা যাবে এখানকার মণ্ডপে।
জয়নগরের তিলিপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো ফি বছরে চমক কাড়ে থিমে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। এবারে তাঁদের পুজো ২৭ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির কর্তা কাউন্সিলার চিন্ময় দে বলেন, এবারে থিমের নাম অনুভূতির বাক্স। ভারতীয় ডাকঘরের ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ডাকবাক্সকে তুলে ধরা হয়েছে। রানার-এর মাধ্যমে চিঠি পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে সম্ভ্রান্তদের পায়রার মাধ্যমে চিঠি পাঠানো– সবই তুলে ধরা হবে মণ্ডপে। জয়নগরের মিত্রপাড়া সার্বজনীন পুজো কমিটির থিমে এবারও থাকছে আকর্ষণ। মিত্রপাড়ার পুজো ৫৪ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির কর্তা বিশ্বনাথ মিত্র বলেন, উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের মন্দিরের আদলে নির্মিত হচ্ছে মণ্ডপ। সেই মণ্ডপে মায়ের মূর্তি হবে ১৬ ফুটের।
জয়নগরের জয়চণ্ডীতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটির পুজো ৩১ বছরে পা দিয়েছে। পুজো কমিটির কর্তা চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তরাখণ্ডের নীলকণ্ঠ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। জয়নগরের গহেরপুর বিবেকানন্দ যুব সঙ্ঘের পুজো ৩৩ বছরে পড়েছে। শিল্পী প্রশান্ত মিস্ত্রি বলেন, এবারের থিম ভ্রূণহত্যা। মণ্ডপের বাইরে মায়ের দশ হাতে দশটা কন্যাভ্রূণ থাকবে। আবার বিপরীতে দেখা যাবে অসুর দশহাত দিয়ে দশটা ভ্রূণ কীভাবে হত্যা করছে। পুরো লোহার পাইপ দিয়ে এই শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ বারাসত ইউনিয়ন বালক ও যুবক সঙ্ঘের পুজো ৮১ বছরে পা দিয়েছে। পুজো কমিটির কর্তা প্রণবেশ্বর দাস বলেন, রোমান সাম্রাজ্যে স্থাপত্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। এক ফ্রেমে হারিয়ে যাওয়া কলোসিয়াম থেকে শুরু করে অ্যাম্ফিথিয়েটার- সবই থাকবে। দক্ষিণ বারাসতের সরবেড়িয়া পল্লিসেবা সমিতির ৬৬ বছরে থিম শিল্পকথা। পুজো কমিতির কর্তা রাজদীপ সাহা বলেন, মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মাটির সরা, কুলো, হাতপাখা– সবই ফুটে উঠবে মণ্ডপে। গোচরণ সরবেড়িয়া মধ্য শিবপুর বন্ধুমহল ক্লাবের এবারের থিম কালার থেরাপি। তাঁদের পুজো ৩৪ বছরে পড়েছে। শিল্পী প্রশান্ত মিস্ত্রি বলেন, আড়াই লক্ষ ড্রপার দিয়ে পুরো কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন রঙ সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে কেমন বার্তা দেয়, তা ফুটিয়ে তোলা হবে।