দামোদরের জলে প্লাবিত হয়েছে তারকেশ্বরের একাধিক গ্রাম। জলে আটকে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। হাজার হাজার বিঘা চাষজমি জলের তলায়। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলের জেরে গ্রামে গ্রামে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারকেশ্বর ব্লকের কেশবচক, সন্তোষপুর, তালপুর, চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে আনার ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা টিম বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিষেবা দিচ্ছেন ত্রাণ শিবিরগুলিতে। ধনেখালির চৈতন্যবাটি গ্রামে রিং-বাঁধ উপচে জল ঢুকে যায়। তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়, চন্দননগরের মহকুমা শাসক বিষ্ণু দাস এলাকা পরিদর্শন করেন।
তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায় জানান, মঙ্গলবার থেকেই প্রশাসনের তরফে আবেদন করা হয়েছিল সবাইকে ত্রাণ শিবিরে চলে আসতে। যাঁরা আসেননি, তাঁরাই আটকে পড়েছেন। ইতিমধ্যে চারজন অন্তঃসত্ত্বা বধূকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজনকে সাপ কামড়ায়। তাঁকেও বোট পাঠিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৭ কুইন্টাল চিঁড়ে, চিনি ও বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে। সেখানে বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন।
জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রসিদপুর, আঁকনা, সেনপুর, ছিটগোলা গ্রামে দামোদরের জল ঢুকে যায়। রসিদপুর এলাকায় বাঁধে ফাটল দেখা দিলে সেখানে ছুটে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়। পুজোর আগে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন ব্যবসায়ীরা। চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কতটা সহযোগিতা পাওয়া যাবে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন।