মেয়াদ ফুরোচ্ছে তিন পদাধিকারীর, প্রশাসনিক ‘সঙ্কট’ বিশ্ববিদ্যালয়ে
আনন্দবাজার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফিনান্স অফিসার সুরজিৎ দাসের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার হিসাবে দেবাশিস দত্তের মেয়াদ শেষ ২ অক্টোবর। উপাচার্যহীন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সে কারণে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে উদ্বিগ্ন শিক্ষক-কর্মী-আধিকারিকেরা। উপাচার্য ছাড়া, যাঁরা রয়েছেন তাঁরা নতুন ফিনান্স অফিসার নিয়োগ করতে পারবেন না। ফিনান্স অফিসার না থাকলে বেতন থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ বন্ধ হয়ে যাবে পুজোর মুখে। তার মধ্যেই বুধবার ডিন মহেন্দ্র রায়ের মেয়াদ ফুরনোয় অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে চলেছে। কারণ, ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে, পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উচ্চ শিক্ষা দফতরে জানানো হয়েছিল। তবে এখনও কোনও জবাব না মেলায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কারণ, এর আগে একাধিক বার সমস্যার কথা শিক্ষা দফতরে জানানো হলেও, সময় মতো কোনও সদুত্তর মেলেনি। উপাচার্যহীন অবস্থায় রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার, ডিনের মতো পদে লোক না থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘উপাচার্য নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই পরিস্থিতিতে ফিনান্স অফিসারের মেয়াদ ফুরচ্ছে দু’দিন বাদে। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার হিসাবে ৩ অক্টোবর থেকে আমারও মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ দিন ডিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরে চিঠি দিয়ে সমস্ত জানানো হয়েছে। দেরি হলে, সঙ্কটজনক অবস্থা তৈরি হতে পারে।’’
যুগ্ম রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সমস্যার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করে রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার হিসাবে কাউকে নিয়োগ করতে পারে। কিন্তু এখনও রাজ্যের তরফে কোনও উত্তর না আসায় সেই অপেক্ষা করা হচ্ছে।’’ কর্তৃপক্ষ জানান, ডিন ঠিক করার দায়িত্ব শিক্ষা দফতরের।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মাসের শুরুতে ফিনান্স অফিসার সই করে চেক ব্যাঙ্কে পাঠালে, সেই মতো শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিক সকলের বেতন হয়। তা ছাড়া, যে কোনও খরচে তাঁর সম্মতি দরকার। সহকারী ফিনান্স অফিসার নেই। এ ছাড়া, রয়েছেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তাঁকে সে সব কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া নেই। বেতন আটকে গেলে পুজোর মুখে বিপাকে পড়বেন শিক্ষক, কর্মী থেকে সকলেই। ফিনান্স অফিসার সুরজিৎ দাস এ দিন বলেন, ‘‘২১ সেপ্টেম্বর আমার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমার কিছু করণীয় নেই।’’