জানা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মিনাক্ষী। সেখান থেকে তিনি আজই ফিরছেন। কলকাতায় ফিরেই তিনি সিজিওতে যেতে পারেন। কেন তলব? গত ৯ অগাস্ট রাত্রে আরজি করের তরুণী চিকিত্সকের মৃতদেহ বের করে আনা হচ্ছিল। সেইসময় মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় দেহ বের করতে বাধা দেন। সেই ঘটনাকে ঘিরে একটি অচলবস্থা তৈরি হয়। পুলিস দিয়ে শেষপর্যন্ত দেহ হাসপাতাল থেকে বের হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, সেই রাতে কী হয়েছিল সেটাই মিনাক্ষীর কাছে জানতে চায় সিবিআই। তিনি কী কী দেখেছিলেন, কী হয়েছিল, পুলিসের ভূমিকাই বা কেমন ছিল তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অন্যদিকে, গত ১৪ অগাস্ট আরজি করে ধরনাস্থলে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এনিয়েও মিনাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বাম যুব সংগঠনের কর্মীরা। ১৪ অগাস্ট রাতে আমকাই হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তারা হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ইমারেজেন্সিতে ঢুকে তারা বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি ভেঙে চুরমার করে দেয়। ক্ষতি করা হয় বিপুল টাকার সম্পত্তির। সেইসময় হাসপাতাল চত্বরে ছিলেন মিনাক্ষীরা। এনিয়েই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায় সিবিআই।
এদিকে, গতকাল নবান্নে ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলে মুখ্যসচিব। ডাক্তারদের দাবি ছিল তাদের বহু দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এনিয়েই ফের বৈঠক হয়। তাদের প্রধান দাবি ছিল স্বাস্থ্য সচিবকে সরাতে হবে। ডাক্তাররা বরাবরই বলে আসছিলেন যে বৈঠকের মিনিটসে দুপক্ষকে সাক্ষর করতে হবে। তা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, আলোচনা হতাশাজনক। শুধুমাত্র মৈখিক আশ্বাস মিলেছে। এই কারণ তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।