• খানাখন্দে ভরা কলকাতার বহু রাস্তা, গাড়ি বা বাইক চালাতে গিয়ে হচ্ছে সমস্যা, পুজোর মুখে দুর্ভোগ
    আনন্দবাজার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত। সেই গর্তের সামনে এসে থমকে যাচ্ছে গাড়ি। পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়ে বাড়ছে যানজট। পুজোর আগে পার্ক সার্কাসের চার নম্বর সেতুর উপরে এমনই বেহাল দশা রাস্তার। শুধু ওই একটি রাস্তা নয়, পুজোর আগে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে একাধিক রাস্তার এ হেন বেহাল দশায় নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। ভাঙাচোরা রাস্তায় যানবাহনের গতি কমে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন পুজোর বাজারমুখী নাগরিকরাও। কোথাও আবার জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা সংস্কারের জেরে তা আরও এবড়োখেবড়ো হয়ে গিয়েছে।

    বুধবার পার্ক সার্কাসের চার নম্বর সেতুতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে রাস্তার বেশির ভাগ অংশই খানাখন্দে ভর্তি। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাড়ি তো বটেই, গর্ত কাটিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন বাইকচালকেরাও। অনেক সময়েই বাইক উল্টে পড়ছে। বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হচ্ছে। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিতে চার নম্বর সেতুর উপরে জল জমে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট।

    এ দিন উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনের সামনে গিয়ে দেখা গেল, রাস্তার বিশাল গর্তে পড়ে গিয়েছে মোটরবাইকের চাকা। গর্তের কারণে থমকে থমকে চলছে গাড়িগুলিও। বেলগাছিয়া স্টেশন থেকে পাতিপুকুর আন্ডারপাস পর্যন্ত পুরো রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা। ভাঙাচোরা পথ থেকে ধুলো উড়ে এলাকায় পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, খানাখন্দময় পথে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ধুলোর জেরে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন পথচারীরাও। এ দিন উত্তর কলকাতার শিয়ালদহ উড়ালপুলের (বিদ্যাপতি সেতু) উপরে একাধিক অংশেও দেখা মিলল বড় বড় গর্তের। তার পাশেই পড়ে ভাঙা কাচের টুকরো। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ জানালেন, ওই গর্তে মোটরবাইকের চাকা পড়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। বাইপাসের জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী মেট্রো স্টেশনের কাছে রাস্তাতেও হাঁ করে রয়েছে বড় গর্ত। তা আড়াল করতে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

    অবিলম্বে শহরের ভাঙাচোরা রাস্তাগুলি মেরামত করতে কলকাতা পুলিশের তরফে বেহাল রাস্তার তালিকা আগেই দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভাকে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক রাস্তা সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছি। বৃষ্টির জন্য বাকিগুলির সংস্কারে দেরি হয়েছে। এখন বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় সেগুলি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।’’ যদিও এ দিন শহর ঘুরে দেখা গেল, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-সহ শহরের বেশ কিছু রাস্তা এমন জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে যে, পথ উঁচু-নিচু হয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। কোথাও আবার খোঁড়াখুঁড়ি করে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে, চার নম্বর সেতু বা শিয়ালদহ উড়ালপুলের বেহাল রাস্তা সারানোর দায়িত্ব কেএমডিএ-র বলে জানান অভিজিৎ। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অবিলম্বে ওই সমস্ত রাস্তা সংস্কার করা হবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)