• আগুন সর্ষের তেলের বাজার, কবে কমবে? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in
    আজ তক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • Mustard Oil prices in West Bengal: বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর মৌলিক শুল্ক বা বেসিক কাস্টম ডিউটি বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়েছে। যার কারণে খুচরো বাজারে ভোজ্যতেলের দাম চড়ছে হু হু করে। সর্ষের তেল-সহ সমস্ত ভোজ্যতেলের দাম লিটারে অন্তত ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের ওপর মৌলিক শুল্ক বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এখন অপরিশোধিত তেলের ওপর শুল্ক ২৭.৫ শতাংশ। উপরন্তু, পরিশোধিত তেল, সূর্যমুখী তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেলের মৌলিক শুল্ক ১২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যার কারণে পরিশোধিত তেলের শুল্ক বেড়ে ৩৫.৭৫ শতাংশ পৌঁছে গিয়েছে।

    এদিকে, অন্য তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে সর্ষের তেলের দামেও। পাইকারি ও খুচরো বাজারে সর্ষের তেলের দাম হু হু করে বেড়ে গিয়েছে কয়েকদিনেই। এখন পোস্তা বাজারে পাইকারি সর্ষের তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা প্রতি লিটার। খুচরে বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা প্রতি লিটার। পাইকারি বাজারে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি লিটার। আর সূর্যমুখী তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকা প্রতি লিটার। পাইকারি বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি লিটার।

    সর্ষের তেলের দাম কেন বাড়ছে

    এই বিষয়ে পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ আগরওয়াল জানিয়েছেন, অন্য তেলের দাম বাড়ার একটা প্রভাব সর্ষের তেলের ওপরে পড়ে। যেহেতু বাংলায় সর্ষের তেলের ব্যবহার ও চাহিদা বেশি, তাই পাল্লা দিয়ে সর্ষের তেলের দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিগুলি। অন্যদিকে, সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেলের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাম তেল। কারণ হোটেল, রেস্তরা, ছোট ভাজাভুজির দোকানে পাম তেলই বেশি ব্যহবহার করা হয়। এর চাহিদাো বেশি। তাই এই তেলের দাম একটু বেশিই রয়েছে।

    কবে নাগাদ সর্ষের তেলের দাম কমতে পারে?

    পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ আগরওয়াল বলেন, 'সর্ষের তেল বাংলায় অন্য রাজ্য থেকে বেশিটাই আসে। আর বাকি ভোজ্যতেল আসে দেশের বাইরে থেকে। তাই এখন তেলের দাম একটু বেশি রয়েছে। তেল সংস্থাগুলির কাছে স্টকও কম রয়েছে। স্টক বাড়লেই দাম কিছুটা কমতে পারে। অক্টোবর মাসে সর্ষের তেলেরও দাম লিটারে ১০ থেকে ২০ টাকা কমতে পারে।'

    তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, উৎসবের মরশুমে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে না। এর জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার বুধবার জানিয়েছে যে উৎসবের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না এবং গম, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোকে দাম না বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (আজ তক)