বন্যায় বিপর্যয়! কাঁসাই নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে ডেবরা ব্লকের ভরতপুর, ভবানীপুর, মনিঘাটি অঞ্চলের একাধিক গ্রামে। গৃহহীন বহু মানুষ। প্রশাসন সূত্রে খবর, বরা ব্লকে ৯ ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে পাঁচশোরও বেশি মানুষকে। আজ, বৃহস্পতিবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন খড়গপুরের মহকুমাশাসক যোগেশ অশোক রাও পাতিল। সঙ্গে ছিলেন বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়ি, বিধায়ক হুমায়ুন কবীর-সহ জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিকে একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হুগলিও। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টি পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে তিনগুণ! নিচু জমিতে যেমন জল জমে গিয়েছে, তেমনি ভরে ওঠেছে নদ, নদী, খালও। এরপর আর জল ছেড়েছে ডিভিসি! খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাট আরামবাগ, তারকেশ্বর ,জাঙ্গীপাড়া , ধনিয়াখালি ব্লকের গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। হাজার হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়। চাষের সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে ,খানাকুল ১ ও ২ এবং গোঘাট ১ ও ২ ব্লকে।
এদিকে বন্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী 'ম্যানমেড' তত্ত্বেই শিলমোহর দিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, 'ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়েছে। তারজন্যই এতগুলো জেলা প্রভাবিত হয়েছে। রাজ্যের যেসব জলাধার রয়েছে সেখান থেকে অল্প অল্প করে জল ছাড়া হয়।কিন্তু ডিভিসি সেটা করে না'। সঙ্গে অভিযোগ, 'উত্তরাখন্ড, বিহার ঝাড়খন্ডের জল এরাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু কেন্দ্র কোনও টাকা বরাদ্দ করে না'।