যাঁরা ত্রিপল-বাঁশ-ফ্যান খুলে নিচ্ছেন তাঁদের বক্তব্য, নির্দেশ রয়েছে তাই খুলে নিচ্ছি। কিন্তু কে বা কারা নির্দেশ দিল সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এদিকে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাদের তরফে অবস্থান তুলে নেওয়ার বা ফ্যান-ত্রিপল খুলে নেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাদের আরও দাবি, এভাবে আন্দোলনের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এভাবে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।
তবে বিধাননগর পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অভিযোগ দেখছি। কিন্তু পুলিসের তরফে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিধাননগর ডিসি আনিস সরকার বলেন, 'জুনিয়র ডাক্তারদের বলছি এমন কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। আমরা পদক্ষেপ করব।' বুধবার রাতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের একটানা আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলেছে নবান্নে। তারপর ও অভিযোগ আগে ধরনাস্থলের বাঁশ খুলে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ৯ আগস্ট সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিল আসিস নামে এক ব্যক্তি। সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে ওই ব্যক্তি। প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই এর কাছে। সেই কারণে হোটেল কর্তৃপক্ষকে আজ সমস্ত নথি নিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। হোটেলের এক কর্মচারী সিবিআই দপ্তরে এসে পৌঁছয় রেজিস্টার খাতা সহ বেশ কিছু নথি নিয়ে। উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ধরনা চলছে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। এই মঞ্চে বহু শিল্পী ও সাধারণ মানুষও যোগ দেন।