পুলিশ–এনভিএফ ব্যাটেলিয়নের মধ্যে তুমুল খণ্ডযুদ্ধ, উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুর
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নাকা চেকিংয়ে পুলিশের উপর হামলা থেকে শুরু করে রাতে মহিলা পুলিশের উপর শ্লীলতাহানির ঘটনা বারবার সংবাদে জায়গা পেয়েছে। এবার খোদ পুলিশ ও এনভিএফ ব্যাটেলিয়নের মধ্যে তুমুল খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুর। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেননি। দু’পক্ষই নিরাপত্তার কাজে লেগে থাকে। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল খণ্ডযুদ্ধ হলে জনগণকে সুরক্ষা কারা দেবে? এই ঘটনার পর এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের কোকওভেন থানার অঙ্গদপুরে এনভিএফের একটি ব্যাটেলিয়ন আছে। সেখানেই দু’দিন আগে বিশ্বকর্মা পুজো হয়। সেই বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে সেখানে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছিল গান–বাজনার অনুষ্ঠান। যার তীব্র প্রতিবাদ করতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। এই অভিযোগ পেয়েই সেখানে যান কোকওভেন থানার পুলিশ। আর এভাবে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করার কথা জানান। সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। আর তার জেরেই এমভিএফ কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে হামলা করতে শুরু করে। তখন নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশও পাল্টা আঘাত হানে বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয় আরও অভিযোগ, এই তারস্বরে মাইক বাজানো নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এনভিএফ কর্মীরা পুলিশের উপরই হামলা চালায়। তাতে দু’জন পুলিশ অফিসার আক্রান্ত হন। এই ঘটনার পর উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। বেশ কয়েকজন এনভিএফ কর্মীকে আটক করে। আর মাইকের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই ঘটনার বিষয়ে দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় বলেছেন, ‘দু’জন পুলিশ অফিসারের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তার জেরে তাঁরা জখম হয়েছেন। আমরা একাধিক এনভিএফ কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঢিঢি পড়ে গিয়েছে সরকারি স্তরে। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে চাওয়া হয় এনভিএফের কাছ থেকে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কোনও কিছুই করার আইন নেই। যদিও এনভিএফ কর্মীদের পাল্টা দাবি, ‘অনেকদিন ধরে স্থানীয় এক প্রভাবশালী এনভিএফের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। তাঁর লোকজনই মাইক বাজানোর অজুহাতে প্রথমে এনভিএফ কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। যাদের সঙ্গ দেয় পুলিশ। আর ওই ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্ট মদ্যপ রয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করার চেষ্টা হয়। তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’