• আরজি কর হাসপাতালে এলেন নতুন সিপি মনোজ ভার্মা, খতিয়ে দেখলেন নিরাপত্তা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে বাংলায়। তার জেরে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ তা ৪১ দিনে পড়েছে। সেই সঙ্গে উঠেছে নিরাপত্তার দাবি। আজ, বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালে গেলেন কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই হাসপাতালে এখন সিআইএসএফ জওয়ানরা রয়েছে নিরাপত্তায়। আর এখন সেখানের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন তা খতিয়ে দেখেন নগরপাল। তারপর অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে বৈঠক করেন। আরজি কর হাসপাতালে যাওয়ার আগে টালা থানা, কাশীপুর এবং সিঁথি থানাতেও যান তিনি।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে হবে এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। সেখানে যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছিল আরজি কর হাসপাতালে তাই সেখানের নিরাপত্তা এখন কেমন দেখলেন পুলিশ কমিশনার। আর কেমন করে এই হাসপাতালকে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে সাজাতে হবে সেটাও খতিয়ে দেখেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার সিআইএসএফ জওয়ানদের নিয়ে গোটা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মনোজ ভার্মা। কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, পুলিশ পোস্টিং থাকবে এবং নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে তা নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।


    গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। সেখানে বেশ কয়েকটি দাবি তাঁদের মেনে নেওয়া হয়। গতকাল নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেও নিরাপত্তার বিষয়টি ওঠে। তাই এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার আরজি কর হাসপাতালে আসা এবং পরিদর্শন করে বৈঠক করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। গত ৯ অগস্ট থেকে কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ধর্ষণ–খুনের তদন্ত করছে সিবিআই।

    আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এমনকী টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার পর মনোজ ভার্মা বৃহস্পতিবার চলে এলেন সেই আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে এসে খতিয়ে দেখলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার আগে টালা ও অন্যান্য তিন থানায় যান মনোজ ভার্মা। সেখানেও নানা বিষয়ে অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন নগরপাল। আর আরজি কর হাসপাতালে কেমন পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা দরকার তাও দেখে নেন তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)