‘আক্রান্ত’ পুলিশ! দুর্গাপুরে বিশ্বকর্মা পুজোর জলসা থেকে হামলার অভিযোগ, ধৃত ৪ এনভিএফ কর্মী-সহ ৮
আনন্দবাজার | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিশ্বকর্মা পুজোর জলসায় তারস্বরে লাউডস্পিকার বাজছিল। তা বন্ধ করাতে গিয়ে এ বার আক্রান্ত হলেন পুলিশকর্মীরাই। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। অভিযোগ, সেখানে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ্যের ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ফোর্সের হেডকোয়ার্টারে লাউড স্পিকার বন্ধ করাতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুর্গাপুর কোকওভেন থানার এএসআই সঞ্জয় ঘোষ। তিনি বর্তমানে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় রাজ্যের ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ফোর্সের চার কর্মী-সহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক অভিযুক্তদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
তখন রাত প্রায় ১২টা। এনভিএফের হেডকোয়ার্টারের ভেতর বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে তারস্বরে লাউডস্পিকার বাজিয়ে জলসা চলছিল বলে অভিযোগ যায় পুলিশের কাছে। বুধবার রাতের ওই ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (দুর্গাপুর পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে ওই অভিযোগ পেয়ে কোকওভেন থানার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এনভিএফ হেডকোয়ার্টারে যায়। লাউডস্পিকার বন্ধ করার কথা বলতেই সেখানে উপস্থিত এক দল মানুষ চড়াও হন পুলিশের উপর।
ডেপুটি কমিশনার বলেন, “স্থানীয় থানার এএসআই সঞ্জয় ঘোষের উপরেও মত্ত অবস্থায় এনভিএফ-এর কর্মীরা হামলা চালান। তার পরেই কোকওভেন থানার একটি পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থল থেকে চার জন এনভিএফের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম শীতল দাস, নুরমান মিদ্যা, মনসারাম সোরেন এবং যোগেশ্বর গড়াই। এ ছাড়া আরও চার জন সাউন্ডম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারও যোগ মিললে, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে। যদিও পুলিশের উপর এই হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এনভিএফের আধিকারিকেরা।