অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যকে নিয়ে কুণাল-দেবাংশুর 'কদর্য' রসিকতা। যারপর বিতর্ক। ফেসবুক পোস্ট 'এডিট' করেন তৃণমূলের আইটি সেলের দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। কিন্তু ততক্ষণে সেই পোস্ট ভাইরাল নেট মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে রাজ্যে নারী সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ চলছে, সেখানে একজন মহিলার চেহারা নিয়ে কীভাবে কটূক্তি করা যেতে পারে? ওই ঘটনায় জোরালো প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে নাগরিক সমাজে। মৌসুমীর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। bangla.aajtak.in-কে ফোনে মৌসুমী ভট্টাচার্য (Mousumi Bhattacharya ) বলেন,'দেবাংশুর মেরুদণ্ড নেই, পুরুষত্বও নেই। ও পোস্ট করে আবার এডিট করেছে। আরে ধক থাকলে পোস্টটা রেখে দে'।
এ দিন মৌসুমী (Mousumi Bhattacharya ) বলেন,'অভদ্র, অসভ্য ছেলে দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূলের আইটি সেলে কাজ করেন। ওরা যদি বলতেন কেন বলেছি, বা ডেকে পাঠাতেন আমি যেতাম। ওরা যদি বলতেন, দিদি বা বোন, ওদের ভাষাতেও যদি ডাকতেন, তাহলে সেটা আরও ভয়ঙ্কর হত... যদি বলতেন, কেন অভিযোগ করেছি, তাহলে পরিষ্কার উত্তর দিতাম। ব্যক্তিগত আক্রমণ করা উচিত হয়নি। জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া উচিত'।
ঘটনার সূত্রপাত, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চিকিৎসকদের ধর্নায় একটি ইউটিউব চ্যানেলকে মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন,'কুণাল ঘোষ একটা পাগল। উনি আরও পাগলামি করবে সেটা বোঝা যাচ্ছে। যার জন্য কলতানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হল। কোনও যুক্তি নেই। এদের একটাই শাস্তি গণধোলাই। এই কুণাল ঘোষ, আর এই ছেলেটার নামও ভুলে যাই দেবাংশু...যে দিন পাবলিক হাতে পাবে, সে দিন কে ওদের বাঁচাবে আমি দেখব… মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু ওদের বাঁচাতে আসবেন না'। ওই ভিডিওয় দেবাংশুকে যোগ করে কুণাল কটাক্ষ করেন,'হ্যাঁরে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব?' তার পাল্টা অভিনেত্রীর মৌসুমীর পেশা এবং মুখ নিয়ে ব্যঙ্গ করেন দেবাংশু।
বিতর্ক বাড়তেই নিজের পোস্ট এডিট করে দেন দেবাংশু। যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মৌসুমীর মন্তব্য,'দেবাংশুর মেরুদণ্ড নেই, পুরুষত্বও নেই। ও পোস্ট করে আবার এডিট করেছে। আরে ধক থাকলে পোস্টটা রেখে দে। সাহস থাকলে মিথ্যা পোস্ট করে লড়াই করতে আসিস না তোরা। ক্ষমতা থাকলে গড়িয়াহাটের মোড়ে দাঁড়িয়ে মাইকে বলুক। আমি তো সবার সামনে বলেছি। এসি ঘরে লুকিয়ে বলিনি'। তিনি যোগ করেন,'আমি বিবাহিত মহিলা। আমার বিয়ে দেবেন বলছেন! আমার পরিবার অনেক ভদ্র। আমার স্বামী ভালো মানুষ। আমরা অন্যভাবে উত্তর দিতে জানি। সময় আসলে উত্তর দেব'। আইনি পথে হাঁটবেন? অভিনেত্রীর জবাব,'যা করার করব'।
এই বিতর্কে তৃণমূলপন্থী একাংশের বক্তব্য, মৌসুমীই বা কীভাবে গণধোলাইয়ের হুমকি দিতে পারেন? এ নিয়ে অভিনেত্রী বলেন,'ওঁদের নাম নিয়ে বলেছিলাম। বাড়িতে বসে বলিনি। ডাক্তারদের আন্দোলনে ছিলাম। জনসমক্ষেই যা বলার বলেছি। ওখানে অনেকে ছিলেন। সেখানে কমন প্রশ্ন ছিল, কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যের মন্তব্য নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেবেন? আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজের বক্তব্য রেখেছিলাম। আমি কখনও বলিনি, আমি নিজে মারতে চাই বা গায়ে হাত দিতে চাই। কাউকে মারধরের উস্কানিও দিইনি। আমি বলেছি, যা জনরোষ তৈরি হয়েছে, তাতে জনসমক্ষে ছেড়ে দেওয়া হলে এফেক্টটা কী ভালো হবে! আমি ওদের মারধর করার কথা বলিনি। গণধোলাই কথাটা সব বাঙালিরাই জানে। আমার মনে হয়, বাংলা বোঝে না'।