গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিস্ফোরক সিবিআইয়ের আইনজীবী। “চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা”, এই শব্দবন্ধ মাথায় রেখে দিনের পর দিন এই মামলায় অভিযুক্ত দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন বলেই সওয়াল আইনজীবীর। তাই তাদের জামিন দিলে মামলা প্রভাবিত হবে বলেই সওয়াল করেন তিনি। শুক্রবার ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের জামিন মামলার শুনানি ছিল। সিবিআইয়ের কাছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আর্জি,”নিয়োগ দুর্নীতিকে অন্তত সারদার মতো পরিণত করবেন না।” আইনজীবী মিলন মুখার্জির অভিযোগ, সারদা তদন্ত ২০১৪ থেকে এখনও চলছে। সিবিআই তদন্ত করেই যাচ্ছে। শেষ হচ্ছে না। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বার বার এই মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এর পর সিবিআইয়ের আইনজীবী ক্ষোভ উগরে দেন। বিরক্তির সুরে বলেন, “চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা” ? এই শব্দবন্ধ মাথায় রেখেই দিনের পর দিন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা দুর্নীতি করেছেন। যারা চেয়ারে ছিল না, তারাই এই নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল ম্যাজিক করেছে।”
সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, “অভিযুক্তদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা বলা হচ্ছে। যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার কি হবে? ২০ থেকে ২৫ জন এমন সাক্ষী আমাদের কাছে আছে যাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও ছিল। এদের জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে।” সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়েরর প্রশ্ন, “এদের জামিন দিলে কি এরা আবার নিজেদের পদ ফিরে পাবেন? যদি না পান আপনাদের ভয় কিসের?” তবে সিবিআইনজীবীর একটাই বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া হাইপ্রোফাইল অভিযুক্তদের কেউ জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হবে। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।