এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, 'এই আন্দোলন নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের যে মিটিং হয়, সেই মিটিং থেকে সুনির্দিষ্ট কিছপ বক্তব্য বেরিয়ে আসে। সিপি স্যারের পদত্যাগ, DME ও dhs-J অপসারণ, এবং এর পাশাপাশি বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই জোরদার করেছি। আমাদের লড়াই চলবে'।
হাইকোর্টে নির্দেশে এখন আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, 'সিবিআইয়ের তরফে তদন্তে গতিপ্রকৃতি আমরা বারবার জানতে চেয়েছি। আমরা মনে করি, অতি দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু হওয়া উচিত। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে, টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এগুলি আমাদের আন্দোলনের পথে বড় পদক্ষেপ। আমাদের কলেজে নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং থ্রেট কালচার, ভয়ের পরিবেশ কলেজ ক্য়াম্পাসে গড়ে ওঠেছে। দ্বিতীয় অভয়া যাতে না ঘটতে পারে, সেজন্যই আমরা নিরাপত্তার প্রশ্ন রেখেছিলাম'।
জুনিয়র ডাক্তারদের আরও বক্তব্য, 'আমরা মনে করি, যেকোনও প্রতিষ্ঠানেই ৯ অগাস্টের ঘটনা একটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। যদি মনেই করি, যদি ক্যাম্পাসকে সুরক্ষিত করতে পারি, তাহলে কীভাবে বলতে পারি, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনা ঘটবে না। ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নামতে হবে না। সেই ঘটনা যদি না করতে হয়, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা প্রশ্ন এবং কলেজে কলেজে গণতান্ত্রিক পরিবেশে দাবি আমরা চিফ সেক্রেটারি জানিয়েছি। আজকে একটা নির্দেশিকা এসেছে,প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কলেজে যে ভীতির পরিবেশ, আমরা বারবার বলেছি, এটা আমাদের অন্য়তম দাবি নয়। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি।ন্যায়বিচারের দাবিতে আমাদের লড়াই কিন্তু শেষ হয়নি। আমরা কালকে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে ডাক দিয়েছিল বিকেল ৩টেয়'।