• কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন বহু গ্রাম, ভেঙেছে মাটির বাড়ি
    বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন:  মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি না হলেও লাভপুরের কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এখনও জলমগ্ন একাধিক গ্রাম। এলাকায় একাধিক মাটির বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় বলরামপুরে বাঁধের উপরেই গত পাঁচদিন ধরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন প্রায় ৪০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছে যান প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ সহ প্রশাসন ও পুলিসের আধিকারিকরা। অন্যদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের উদ্যোগে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত গ্রামগুলির এক হাজারটি পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়।


    মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে লাভপুরের ঠিবা পঞ্চায়েতের কুঁয়ে নদীর বাঁধ দ্বিতীয়বার ভেঙে যায়। যার ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বলরামপুর, কান্দরকুলো, খাঁপুর, হরিপুর, চতুর্ভুজপুর, জয়চন্দ্রপুর সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক গ্রাম। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র বলরামপুর গ্রামে ভেঙে যায় ৫০টি মাটির বাড়ি। তারপর থেকেই ওই সমস্ত মানুষ নদীর বাঁধের উপর পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়া ও জলাধার থেকে জল না ছাড়ার কারণে জলস্তর অনেকটাই কমেছে। তবে এখনও একাধিক বাড়ি জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার বিঘার জমির ধান এখনও পর্যন্ত রয়েছে জলের তলায়। লাভপুর ব্লক প্রশাসনের তরফে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য সব রকম সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। বাঁধের উপর অস্থায়ী স্বাস্থ্যশিবির করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিভিন্ন রকম জলবাহিত রোগের সম্ভাবনা দেখা যায়। তার থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকায় ছড়ানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার। রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার লাভপুরের ঠিবা পঞ্চায়েতের বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা। এদিন বলরামপুরে যেখানে নদীবাঁধ ভেঙেছে, সেই স্থান পরিবর্তন করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। তাকে কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগ জানান স্থানীয় মানুষজন। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়।


    বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে রাজ্যজুড়ে একাধিক ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। লাভপুরের ঠিবা পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। আমরা সকলেই একসঙ্গে বন্যাপীড়িত মানুষদের পরিষেবা প্রদান করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)