সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহের গাজোল সার্কেলের বোমকা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ রায় ছুটিতে রয়েছেন। চারটি শ্রেণির পড়ুয়াদের সামাল দেওয়া একজন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। সেজন্য স্কুলে এসে বৃহস্পতিবার সকালে পড়ুয়াদের ক্লাস নিলেন স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রশান্ত রায়। এদিন তিনি তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির অঙ্কের ক্লাস নেন। দীর্ঘদিন পর খুদে পড়ুয়াদের ক্লাস নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বেশ আপ্লুত। আগামীদিনেও একাধিক স্কুলে তিনি ক্লাস করাবেন বলে পরিকল্পনা নিয়েছেন।
অন্যদিকে গাজোল সার্কেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ওই সার্কেল থেকে ২০টির বেশি প্রাথমিক, হাইস্কুল ও এসএসকে পরির্দশন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্কুল ছুটি দেওয়ার কারণে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে।
আদিবাসী এবং তফসিলি অধ্যুষিত এলাকায় বোমকা প্রাথমিক স্কুলটি। প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩২ জন পড়ুয়া পড়ে স্কুলটিতে। এদিন ২১ জন উপস্থিত ছিল। স্কুলে মোট শিক্ষক দু’জন রয়েছেন। একজন প্রধানশিক্ষক। অন্যজন সহ শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় একজন শিক্ষক দিয়ে স্কুলের পঠনপাঠন চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। সেজন্য এদিন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক স্কুলে এসে ক্লাস নেন। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, প্রধান শিক্ষক সার্কেলকে জানিয়ে ছুটি নিয়েছেন। সেজন্য আমি ক্লাস নিয়েছি। পড়ুয়াদের অঙ্ক করতে দিয়েছিলাম। অন্যভাবে ঘুরিয়ে কাজ দিয়েছিলাম। তিন-চারজন ছাড়া সবাই পেরেছে।
বোমকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ রায় বলেন, আমি দুদিন ছুটি নিয়েছি। এদিন স্কুলে যেতে যায়নি। পরে সহ শিক্ষকের কাছে জেনেছি, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ক্লাস নিয়েছেন। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ক্লাস নেওয়ায় খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকরাও প্রশংসা করেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে আরও একজন শিক্ষক নিয়োগের আর্জি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর কথায়, আমরা মাত্র দু’জন শিক্ষক। আমাদের স্কুলে আরও একজন শিক্ষক দেওয়া হলে খামতিগুলি মিটিয়ে নিতে পারব। গাজোল সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রশান্ত রায় বলেন, ওই স্কুলে মাত্র ৩২ জন পড়ুয়া। দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। ৩০ জন পড়ুয়া পিছু একজন শিক্ষক দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। শিক্ষক বাড়ানোর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখে।