সংবাদদাতা, চাঁচল: গভীর রাতে মহানন্দা নদীর চর থেকে কুড়ি হাজার টাকার জালনোট, আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরল পুলিস। আগেও একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল এই দুষ্কৃতী।
বুধবার রাতে চরে দাঁড়িয়ে ছিল যুবকটি। মহানন্দা পেরিয়ে নিজের গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করছিল। গভীররাতে নদীর চরে টর্চের আলো দেখতেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার আগেই চাঁচল থানার পুলিসের খপ্পড়ে পড়ে যায় যুবকটি।
পুলিস জানায়, ধৃতের নাম আনারুল হক। সে চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে ৪০ টি ৫০০ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড কার্তুজও।
উত্তর দিনাজপুর সীমানা এলাকা মালদহের চাঁচলের চন্দ্রপাড়া মহানন্দা নদীঘাট থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার থারায়েস গ্রাম থেকে নদী পেরিয়ে গ্রামে আসার সময় তাকে ধরা হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর। যেখান থেকে তাকে ধরা হয়, সেখান থেকে তার বাড়ি চারকিমি। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই গ্রামে ঢোকার আগেই পুলিস তাকে ধরে ফেলে।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তুলে সাতদিনের হেফাজতে নিয়েছে চাঁচল থানার পুলিস। চাঁচল থানার এক আধিকারিক জানান, আগেও একাধিক অপরাধে আনারুল গ্রেপ্তার হয়।
পুলিসের দাবি, এর আগে আগ্নেয়াস্ত্র সহ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে চাঁচল থানাতেও গ্রেপ্তার হয়। জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ধৃত যুবক আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের কাজে যুক্ত। চলতি বছরের জুলাই মাসে গাজোলে সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় ধৃতদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল এই আনারুল। আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও সরবরাহে আনারুলের সঙ্গে আর কারা যুক্ত? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ধৃতের কাছে জালনোটই বা কোথা থেকে এল, আনারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস তা জানার চেষ্টা করছে।