সংবাদদাতা, বাগডোগরা: বাইরে বোর্ডে লেখা রয়েছে, জরাজীর্ণ ভবন থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। তবুও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেই জরাজীর্ণ ভবনের নীচে ঠাই নিয়েছেন এক ভবঘুরে। বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান অনেকের। সীতা চিকবড়াইক নামের বছর ৬০-এর ওই মহিলা জানান, প্রায় একবছর ধরে এখানে পড়ে রয়েছি। হাঁটতে পারি না। থাকার জায়গা না থাকায় রাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘুমাই। তবে মাথার ওপর থাকা ভাঙা চাল পড়তে পারে।
বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন বর্তমানে জরাজীর্ণ। টিনের চাল ভেঙে ঝুলে রয়েছে। ঘরের দেওয়ালে ফাটল রয়েছে। যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ঘরটি। সেই ঘর থেকে রোগী ও পরিজনদের দূরত্ব বজায় রাখতে বাইরে বোর্ড লাগানো রয়েছে। প্রতিদিন ওই কেন্দ্রে শতাধিক মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। একজন বৃদ্ধা এভাবে পড়ে থাকায় তাদের মনেও প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে নকশালবাড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ কুন্তল ঘোষ বলেন, আগেও ওই বৃদ্ধাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিসের সাহায্য নিয়ে তাকে অন্যত্র সরানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন। বৃদ্ধারই সুরক্ষার ক্ষেত্রে আবারও পুলিসের সাহায্য নেওয়া হবে। আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব সিনহা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমরাও বহুবার তাকে সরানো চেষ্টা করেছি।ওই বৃদ্ধা মহিলা পুনরায় সেখানে ফিরে আসে। তবে বর্তমানে ওই জায়গাটি সুরক্ষিত নয়। তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য নিয়ে ফের চেষ্টা করব।