• মহানন্দায় প্রতিমার কাঠামো ও আবর্জনার স্তূপ, ক্ষোভ
    বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: থকথকে কাদা। জায়গায় জায়গায় জল। তাতে কাগজের থালা, প্লেট, ফুল, পাতা ছড়ানো। পথকুকুর ও গোরু সেখানে থেকে ওসব তুলে খাচ্ছে। পাশেই প্রতিমার কাঠামোর স্তূপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ছবি ধরা পড়েছে শিলিগুড়ি শহরের ফুসফুস মহানন্দা নদীর ঘাটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এনিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁরা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার কর্মীদের নজরদারির অভাবে সংশ্লিষ্ট ঘাট কার্যত নরকে পরিণত হয়েছে। পুরসভা অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। 


    পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ ও সাফাই বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য মানিক দে অবশ্য বলেন, দুর্গা ও কালীপুজোর মতো গণেশ ও বিশ্বকর্মা পুজোর বিসর্জন নিয়ে নির্দিষ্ট সময় সূচি নেই। যার ফলে বাসিন্দারা যখনতখন প্রতিমা নদীতে বিসর্জন দিচ্ছেন। সময় মতো পুরকর্মীরা নদী থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলছেন। শুধুমাত্র এই নদী পরিষ্কার রাখতেই ১৫টি টিম রয়েছে। প্রতি টিমে সাফাই কর্মীর সংখ্যা ১০ জন করে। কাজেই পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। নাগরিকদের আরও সচেতন হতে হবে। 


    মেয়র পরিষদ সদস্য যাই বলুন না কেন নদী ঘাটে কার্যত সারাবছরই জমে থাকে জঞ্জাল। বিশেষ করে কুমোরটুলিগামী রাস্তার ধারে নদীর ঘাটের অবস্থা শোচনীয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরকর্মীদের নজরদারি অভাবেই এমন পরিস্থিতি। পুরকর্মীরা অবশ্য বলেন, এদিন ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত নদীতে অভিযান চালিয়ে গণেশ ও বিশ্বকর্মার প্রচুর কাঠামো তোলা হয়েছে। দুপুরে ও বিকেলে আবার কিছু লোক নদীতে প্রতিমা ভাসিয়েছে। আর নদীর ঘাটে ফুল ও জঞ্জাল ফেলার ডাস্টবিন থাকলেও অনেকে ব্যবহার করেন না। এ নিয়ে ঝামেলাও হয়। লোকজনকে সচেতন হতে হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)