• আর জি কর পরিদর্শনে সিপি, আউটপোস্টের লোকবল নিয়ে খোঁজ
    বর্তমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৯ আগস্ট মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে দুপুরে ছুটে গিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। তবে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি মেনে তাঁকে সরিয়ে মনোজ ভার্মার কাঁধে দায়িত্ব সঁপে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দায়িত্ব পেয়েই আর জি করের ঘটনার ঠিক ১ মাস ১০ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলেন শহরের নয়া সিপি মনোজ। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআইএসএফকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে আইনশৃঙ্খলা বজার রাখার দায়িত্ব এখনও কলকাতা পুলিসেরই। তাই সেখানে পা রেখেই আর জি কর হাসপাতালের আউটপোস্টে কত লোকবল রয়েছে? কীভাবে কাজকর্ম চলে সেখানে? এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন মনোজ ভার্মা। 


    মঙ্গলবার বিকেলে লালবাজার সহ গোটা কলকাতার পুলিসি ব্যবস্থার দায়িত্ব নেন নয়া সিপি। এরপরেই প্রাথমিকভাবে যুগ্ম কমিশনার ও বুধবার ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মনোজ ভার্মা। দায়িত্বগ্রহণের তিনদিনের মাথায় থানা পরিদর্শন শুরু করলেন কমিশনার। উত্তর কলকাতার তিনটি থানায় যান তিনি। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ লালবাজার থেকে বের হন সিপি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার (৪) অশেষ বিশ্বাস, যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ, ডিসি (ট্রাফিক) শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও এবং সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি (নর্থ) দীপক সরকার। কলকাতা পুলিসের নর্থ ও নর্থ সাবার্বান ডিভিশনের অন্তর্গত কাশীপুর থানায় গিয়ে ওসি, অ্যাডিশনাল ওসিদের সঙ্গে কথা বলেন সিপি। সেখান থেকে সিঁথি থানা ও টালা থানাও পরিদর্শন করেন তিনি। টালা থানার অন্তর্গত ‘টক অব দ্য টাউন’ আর জি কর হাসপাতাল। দুপুর ১টা বেজে ১২ মিনিটে আর জি কর হাসপাতালে আসেন তিনি। প্রথমেই তিনি প্রবেশ করেন ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে। সেখানেই গত মাসের ৯ আগস্ট সকালে মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ফ্লোরে যান নয়া সিপি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেখান থেকে নেমে এসে হেঁটে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিল্ডিংয়ে চলে যান সিপি। সেখানে আর জি কর হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক সারেন পুলিস কমিশনার। যদিও তখন সাংবাদিকদের সম্মুখীন হননি মনোজ ভার্মা। 


    অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিল্ডিং থেকে বেরনোর সময় টালা থানার এক অফিসার ও আর জি করের আউটপোস্টের অফিসার ইন চার্জের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কলকাতা পুলিসের এক সূত্রের কথায়, আর জি করের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব যখন কলকাতা পুলিসের তাই সেদিকটি আঁটসাঁট রাখতে চাইছেন শীর্ষকর্তা। এই মুহূর্তে আর জি কর হাসপাতালে আধিকারিক, ফোর্স নিয়ে ২৬ জন কর্মী রয়েছে। তাঁরা কতগুলি শিফটে কাজ করেন, কী কী কাজ করতে হয় সবকিছুই খোঁজ নেন সিপি। অন্যদিকে, এদিন বিকেলে লালবাজারের সমস্ত কর্তা সহ ডিসিদের সঙ্গে ফের বৈঠক করেন তিনি। পরপর কলকাতা পুলিসের একাধিক নিচুতলার কর্মীদের নিগ্রহের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন কমিশনার। 
  • Link to this news (বর্তমান)