ডিভিসির ছাড়া জলে জলমগ্ন হুগলির একাংশ, কোমর জলে বাড়িঘর, নৌকো করে চলছে কাজ
আনন্দবাজার | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মিল্টন সেন: ইতিমধ্যেই ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে আরামবাগ মহকুমার একাংশ। জলে ডুবেছে সাত ব্লকের ৩৫ টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত। বহু মানুষ ঘরছাড়া। খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির।
এবার ছাড়া জলে বিপত্তি, বৃহস্পতিবার গঙ্গার জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার একাধিক এলাকা। ইতিমধ্যেই ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিনবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া,তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া সহ একাধিক গ্রামীণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডিভিসির জলে খাল উপচে জল গঙ্গায় মিশছে।
ভরা কোটালের সময় গঙ্গার জল উপচে প্লাবিত হয়েছে চুঁচুড়া পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদনিঘাট, কালিতলা, চকবাজার জেলেপারা সহ গঙ্গা তীরবর্তি একাধিক এলাকা। জল ঢুকে পড়েছে একাধিক বাড়ির ভেতরে। পুর প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকটি পরিবারকে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে রাখা হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় পৌঁছে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারম্যান অমিত রায়। ফেরি পরিষেবা বন্ধ হয়েছে চুঁচুড়া তামলিপাড়া ঘাটে।
গঙ্গার জল ফুলেফেঁপে ওঠার ফলে তামলিপাড়া পনটুন জেটি জলের তলায় চলে গেছে। প্রভাব পড়েছে ফেরি পরিষেবায়। চুঁচুড়া তামলিপাড়ার বিপরীতে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গরিফা রামঘাট। ফেরি বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন দুই পারের যাত্রীরা। তামলিপাড়া ঘাটের ঠিকাদার বিজয় কাহার জানিয়েছেন,পুরসভা টেন্ডার করার সময় যা বলেছিল তা করেনি।
ভাসমান জেটি দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা দেওয়া হয়নি। একটি ছোটো লঞ্চ চালানো হচ্ছে যাত্রীদের সুবিধার্থে। তবে গঙ্গায় জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করতে সমস্যা হচ্ছে। জোয়ারের সময় চার ঘন্টা পরিষেবা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে অফিসমুখী নিত্যযাত্রীদের।