এই সময়: আরজি করের ঘটনায় ভাবমূর্তি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা পুলিশের। ৯ তারিখের ঘটনার পরে যে ভাবে ১৪ অগস্ট রাতে হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছিল, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হামলার খবর কেন আগাম পায়নি কলকাতা পুলিশ? জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের চাপে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে বিনীত গোয়েলকে।এই পরিস্থিতিতে নতুন দায়িত্বভার পেয়েছেন ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস মনোজ ভার্মা। দায়িত্ব নিয়েই বাহিনীর সদস্যদের জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে একাধিক অফিসার জখম হওয়া থেকে শুরু করে টালা থানার ওসি গ্রেপ্তার, সামাজিক মাধ্যমে লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়া পুলিশ বাহিনীকে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আরও বেশি সজাগ এবং সতর্ক থাকার কথা এদিন বলেন কমিশনার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নর্থ ডিভিশনের বেশ কয়েকটি থানা পরিদর্শন করেন তিনি। এদিন দুপুরে সিঁথি থানায় তাঁর সঙ্গে যান ডিসি (নর্থ) দীপক সরকার এবং ডেপুটি কমিশনার (ট্র্যাফিক) ওয়াই এস জগন্নাথ রাও। সেখানে গিয়ে অফিসার-সহ পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পরে খোঁজ নেন কতগুলি মামলা বর্তমানে থানায় নথিভুক্ত রয়েছে।
প্রবীণ এবং কোনও মহিলা থানায় এলে তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার পরামর্শও দেন তিনি। সিঁথির পরে যান টালা থানায়। এই থানার অধীনেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। যেখানে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট সহ কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
বর্তমানে ওই থানার দায়িত্বে থাকা মলয় কুমার দত্তের সঙ্গে এদিন আলোচনা করেন মনোজ। সেখান থেকে বেরিয়ে যান কাশীপুর থানায়।
লালবাজার সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায় গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পুজোর আর বেশি দেরি নেই। বাজারও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের আরও সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছেন কমিশনার।
তিনটি থানার কর্তব্যরত অফিসার এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এদিন আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন কমিশনার। আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ছাড়াও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এদিন বৈঠক করেন মনোজ।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিরাপত্তা বর্তমানে কেমন, কোথায় খামতি রয়েছে, সে সব বিষয়েই অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।