অনুমতির গেরোয় অনিশ্চিত 'বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা' দর্শন
এই সময় | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১১১ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগাতে চেয়েছিল নদিয়ার রানাঘাটের ধানতলার কামালপুর অভিযান সঙ্ঘ। চলছিল শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। কিন্তু এবার সেই দুর্গাপুজো বন্ধ করার নির্দেশ দিল পুলিশ। সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণের জন্যই এই নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই দুর্গাপুজো করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।এই পুজোর জন্য স্থানীয় ৪০টি ক্লাব এবং ২০টি গ্রামের মানুষ এক হয়েছিলেন। কিন্তু এই মণ্ডপ দেখার জন্য যে বিপুল মানুষের ভিড় হবে তা সামলাতে কি আদৌ প্রস্তুত উদ্যোক্তারা? তা নিয়ে সন্দিহান প্রশাসন। সেক্ষেত্রে কোনও অঘটন ঠেকানোর জন্য পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। উদ্যোক্তাদের অবশ্য দাবি, ১১১ ফুটের দুর্গা প্রতিমা থেকে দর্শকদের দূরত্ব থাকবে ১২০ ফুট। অর্থাৎ প্রতিমার ধারেপাশে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি প্রায় ২০০ বেশি ভলান্টিয়ারের সঙ্গে বাউন্সারও নিয়োগ করা হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
পুজোয় আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে পুলিশি নির্দেশে রীতিমতো মাথায় হাত উদ্যোক্তাদের। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের কথায়, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে পুজোর অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। শহর নয়, গ্রামে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা। অনেকে উদ্যোগ নিয়েছেন এই পুজোর জন্য। অনেকের পরিশ্রম রয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ পুজোর অনুমতি দেওয়া হোক।’
এই প্রসঙ্গে রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু ঘোষ বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উচ্চতা হতে পারে ২০ ফুট এবং মণ্ডপের ক্ষেত্রে তা ৪০ ফুট। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। সেই জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি দেওয়া হয়নি।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের উদ্যোক্তারা ৮৮ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করেছিল। সেই বছর ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। শেষমেশ ভিড়ের জন্য সেই পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।